লড়ꦗাইটা শুরু হয়েছিল বাড়ি থেকেই। তারপর পথে বসে অবস্থান। সেখান থেকে সরাসরি বিধানসভার অলিন্দে। জিতে বিধায়ক হলে মাত্র ২৫ বছর বয়সে। রাজ্য–রাজনীতিতে এখন একটা চর্চিত নাম। কারণ খোদ বিজেপির জেতা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে এসেছেন তিনি। বিধানসভার নাম–বাগদা। আর বিধায়ক রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠা বিধানসভার সদস্য মধুপর্ণা ঠাকুর। বিধায়ক হিসেবে তিনি মঙ্গলবার শপথগ্রহণ করেন। ঘুরে দেখেন বিধানসভা। এখানেই বাগদার মানুষের দাবি তুলে তা আদায় করে পৌঁছে দিতে হবে। এটাই তাঁর কাজ। কম বয়সে বড় দায়িত্ব পেয়ে কি নার্ভাস মধুপর্ণা? বিধায়সভায় প্রথমদিন কেমন গেল? এমন নানা প্রশ্নের জবাব দিলেন মধুপর্ণা নিজেই।
তাঁর মা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। সুতরাং রাজনীতির একটা গাইডেন্স তাঁর সঙ্গে থাকছেই। এছাড়া বিধানসভার অন্যান্য বিধায়করাও আছেন। যাঁরা তাঁকে গাইড করতে পারবেন। তবে বয়স কম বলে মধুপর্ণা অপরিণত নন। শিক্ষিত তরুণী এবং প্রতিবাদ করার ক্ষমতা আছে। তাই তো ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তাঁর দাদা তথা বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। মতুয়াদের ভোট পেয়েই বিধায়ক হয়েছেন মধুপর্ণা। প্রথমদিন কেমন লাগল বিধানসভায়? মধুপর্ণা বলেন, ‘প্রথমদিন একটু নার্ভাসনেস ছিল। তবে বিধানসভায় সবাই আমাকে নিজে♑ꦍর ছোট বোনের মতো দেখছে।’
আরও পড়ুন: ‘বিহারের ছেলে হয়ে ভাল লাগছে’, আর্থিক প্যাকেজ🐲 নিয়ে খুশি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ
লোকসভা নির্বাচনে এবার বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে ধস নেমেছে। তাই আসন সংখ্যা ১২ পৌঁছেছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন জিতেছে। তার উপর প্রথমে দুটি এবং পরে চারটি বিধানসভা উপনির্বাচনেও বিজেপিকে গোহারা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বাগদা উপনির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করাটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ লড়াইটা আসলে ছিল মধুপর্ণার দাদা তথা বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। সেখানে বড় ব্যবধানে জয় এনেছেন তিনি। তাই উপহার🍌 ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে জনস্রোতের সামনে বক্তৃতার সুযোগ। মধুপর্ণার বক্তব্য, ‘প্রথমবার এত মানুষের সামনে বক্তৃতা দিয়েছি। ভয় লাগছিল। একটু নার্ভাস ছিলাম। তবে আগামীতে এটা থাকবে না। কারণ অভ্যাস হয়ে যাবে।’