শুভেন্দু অধিকারীর ‘ডিসেম্বার হুঙ্কারের’ প্রথম তারিখটাই ছিল ১২ ডিসেম্বর। এদিন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু হয়নি। তবে এদিনই মৃত্যু হল বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয় লালনের। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই আবহে এবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘এটাই কি ছিল ১২? এই রহস্য মৃত্যুর সমাধানে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করতে হবে।’ কুণালের কথায়, ‘সিবিআই অফিসারদের ওপর আমরা আস্থা রাখি। যথেষ্ট দক্ষ অফিসাররা আছেন। কিন্তু বিজেপি যখন সিবিꦰআই-কে ব্যবহার করে, তখন প্রশ্ন তো উঠবেই।’
এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর নাম বগটুই-কাণ্ডে শোনা যাচ্ছিল। নিশ্চিতভাবে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। সিবিআই বলছে, পার্শিয়াল হ্যাঙিং। যে উচ্চতা থেকে এটা হয়েছে, তাতে সেটা কি সম্ভব? যেহেতু এটি স্পর্শকাতর মামলা, সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। সিবিআইয়ের দক্ষতাকে সম্মান করি, কিন্তু সিবিআই বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে♒ কাজ করে। এই মৃত্যুর পিছনে বিজেপির হাত আছে কি না দেখতে হবে।’
এদিকে লালনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দেবাংশু ভট্টাচার্যও। লালন শেখের𝓀 অস্বাভাবিক মৃত্যুকে নিয়ে বিস্ফোরক পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আন্দাজই কি সঠিক ছিল তাহলে? সিবিআই কাস্টডিতে কীভাবে মꩲারা গেল লালন শেখ? আত্মহত্যা না খুন? বিজেপির কোনও বড় মাথাকে বাঁচানোর কৌশল? এই খুনের তদন্ত কে করবে? সারদা থেকে বগটুই, সর্ষের মধ্যে ঢুকে আছে ভূত! সেই ভূত তাড়াতে এবার হাতে হাতে ঝাঁটা তুলে নিতে হবে।’
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু পালটা জল্পনা উস্কে দিয়ে বলেছেন, ‘লালন শেখের নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ, তাই 🃏পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যা সত্য, তা সামনে আসা উচিত। যেটুকু আমি শুনেছি, সিবিআই আধিকারিকেরা সেই সময় আদালতে গিয়েছিলেন। তবে, সবটাই শোনা।’