এবার কি রাস্তার নিরিখে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগের সীমা বেঁধে দেওয়া হবে? শীঘ্রই সেই নিয়ম চালু করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে অ্যাডভান্সড লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্🐎বুল্যান্স এবং মোবাইল ডেন্টাল ভ্যানের উদ্ব🍌োধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী জানান যে দুর্ঘটনা রুখতে বিভিন্ন রাস্তায় গতির সর্বোচ্চসীমা বেঁধে দেওয়া উচিত। কোন রাস্তায় সর্বোচ্চ কত গতিবেগে গাড়ি চলতে পারবে, সেটা বিবেচনা করার জন্য পরিবহণ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে পুলিশকে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলব যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ফের সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচি শুরু করা হোক। কমপক্ষে তিন-চারদিন যেন করা হয়। কারণ শীতকালে ধোঁয়াশা বেশি হয়। কুয়াশা বেশি হয়। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে। জোরে গাড়ি চালানোর সময় কোনও বাম্পারে লেগে গেল, (তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়)। অনেকেই অনেক সময় স্থানীয় রাস্তাটা জানেন না। চেনেন না। তাঁরা হয়ত বাইরে থেকে এসেছেন। তাই আমি মনে করি যে গাড়ি চালানোর ক🌳্ষেত্রে সবসময় একটা গতি🍰র সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত। রাস্তা অনুযায়ী স্পিড রেস্ট্রিকশন থাকা উচিত। এটা পরিবহণ দফতরের দেখা উচিত।’
সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি চালু করেছে, সেটার নকল করেছে অনেকেই। তবে কারা নকল করেছে, সেটা জানাননি মমতা। 🍸তিনি শুধুমাত্র বলেন, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ একটা থিম আছে আমাদের। এই থিমটা অন্যান্যরাও অনেকে নকল করেছে। তাতে আমরা খুশি। ভালো জিনিস হলে নকল করা ভালো। খারাপ জিনিস কখনও নকল করা ভালো নয়। ভালো জিনিস সবসময় নকল করা ভালো।’
তারইমধ্যে আট কোটি টাকায় ২৫টি অত্যাধুনিক জীবনদায়ী অ্যাম্বুল𒅌্যান্স এবং দুটি মোবাইল ডেন্টাল ভ্যানকে সবুজ পতাকা দেখানোর আগে নাম না করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দাগেন মমতা। তিಞনি বলেন, ‘সকলের হাতে সবুজ পতাকা দিয়ে দাও। কারণ সবুজ পতাকা তোলার অভিজ্ঞতা আমার অনেক আছে। রেলের যত প্রকল্প বাংলায় হয়েছে, সবই আমার সময় করা। যত মেট্রো হয়েছে, সবই আমার সময় করা। সময়টা একটু বেশি লাগল, এই যা।’
উল্লেখ্য, আগামী মাসের গোড়ার দিকেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড, জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের তারাতলা-মাঝেরহাট অংশ এবং নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের নিউ গড়িয়া-🐈রুবি অংশের উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।