বাংলার বাসিন্দাদের ৮ থেকে ৮০ এখন জ্বরে ভুগছেন। তবে সেটি ডেঙ্গি নয়। তাহলে সেটি কী? আসলে এখন রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ভাইরাল জ্বর। আর তার জেরে ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী মানুষজন। এই নিয়ে আবার নানা টেনশনও শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রথমে মনে করছেন ডেঙ্গি হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গি 🍸নয়, ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত। চিকিৎসকেরা বলছেন, ডেঙ্গির দোসর হয়েছে এই ভাইরাসও। তার জেরেই জ্বর হচ্ছে। আর সেই ভাইরাল জ্বরেই কাঁপনি ধরেছে। এটা এখন বেশি দেখা যাচ্ছে।
এদিকে অগস্ট মাস থেকে রাজ্যে ব্যাপক হারে বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। তাই আতঙ্কিত শহরবাসী। সেখানে জ্বর হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন মানুষজন। অথচ এক মাসেই আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজার বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ধরলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৭ হাজার মানুষ। এই সংখ্যাটা আবার বাড়ছেও। সেখানে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্তের 🐲সংখ্যাও বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত শহর থেকে জেলার মানুষজন। এখন পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, প্রত্যেকটি হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর ভিড় বাড়ছে।
অন্যদিকে চিকিৎসকরা ঘাবড়াতে বারণ করছেন। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ, তাঁরা সকলেই যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সেটা একেবারেই নয়। ভাইরাল জ্বরের কারণে তীব্র জ্বরে কাবু শিশু থেকে বৃদ্ধ। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অনির্🦩বাণ নিয়োগীর কথায়, ‘ভাইরাল জ্বরে আক্রান𝓀্তের সংখ্যা বাড়ছে। যে সমস্ত রোগী আতঙ্কের জেরে ডেঙ্গি পরীক্ষা করাচ্ছেন তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। আসলে তাঁরা ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।’ এই ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হলে পাঁচ থেকে সাতদিন পর্যন্ত আক্রান্ত হতে হয়। তারপরই ঠিক হয়ে যায়। তবে গলা ব্যথা এবং মারাত্মক দুর্বলতার সমস্যা থাকছে। কারও কারও সর্দি–কাশিও হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কাউন্সিলারদের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন মেয়⭕র, 🎃ছবি–সহ হালহকিকত জানাতে নির্দেশ
আর কী জানা যাচ্ছে? ভাইরাল জ্বরের প্রকোপও ভাল রকম ছড়িয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই। তিনি বলেন, ‘এখন ঘরে ঘরে জ্বꦗরের একমাত্র কারণ ভাইরাল জ্বর। ডেঙ্গি একটি অন্যতম কারণ। বারবার আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হয়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এড়িয়ে সংক্রমণ ঘটায়। সেটাই এখন শুরু হয়েছে। তবে জ্বর হলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া জরুরি।’ মশা এবং বারংবার আবহাওয়া পরিবর্তনের জোড়া ফলায় জ্বরে কাবু আমজনতা বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।