গ্লোবাল ফাউন্ড্রির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বিশ্বের অন্যতম বড় সেমিকন্ডাক্টর সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বাঙালি মধ্যাহ্নভোজ করার বিষয়টিও সেই পোস্টে জানিয়ে বাবুল বলেন, এই বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বাবুল লেখেন, 'আয়ের দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সেমিকন্ডাক্টর সংস্থা গ্লোবাল ফাউন্ড্রির আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদর্শিতার ফলে পশ্চিমবঙ্গে তাঁদের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা হয়। টিই উইলিয়ামস, ডঃ অমিতাভ দাসদের সঙ্গে বঙালি খাবারে মধ্যাহ্নভোজ করি। অ্যাসোচ্যামের সম্মেলনের সময় এই বৈঠক হয়।' অবশ্য বাবুল এই পোস্ট করলেও গ্লোবাল ফাউন্ড্রির তরফ থেকে বাংলায় নতুন করে কোনও বিনিয়োগের কথা এখনই বলা হয়নি। (আরও পড়ুন: ঘুষ কাণ্ডে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, এক্🦂সেল শিটে তথ্য ‘সেভ’ করে রেখেছিল আদানি?)
আরও পড়ুন: অবশে♍ষে রাজ্যের ডিএ বাড়ল, এমনকী বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়েও বড় ঘোষণা সরকারের
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে বাংলাকে সামনের সারিতে নিয়ে আসতে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে 𒀰মঙ্গলবার বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের সভায় রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানান, শীঘ্রই তাঁরা তথ্যপ্রযুক্তির তিনটি নতুন নীতি আনতে চলেছেন। বাবুলের কথায়, ড্রোন নীতি, সেমিকনডাক্টর নীতি এবং গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার নীতির রূপরেখা তৈরি করে তা প্রকাশ করা হবে। বাবুল সুপ্রিয় দাবি করেন, নীতিগুলি সকলের সামনে এলে পশ্চিমবঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে লগ্নির পরিমাণ এক লাফে অনেকটা বাড়বে। এদিকে🌊 কর্মসংস্থানও বাড়বে। এই আবহে বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে 'ব্রেন ড্রেন' কমবে। এই সবের মধ্যে গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার নীতির ওপর বেশি জোর দিয়েছেন বাবুল। বাবুল সুপ্রিয় এই নিয়ে বলেন, 'জিসিসি নীতি প্রায় সম্পূর্ণ ভাবে নতুন। শীঘ্রই প্রকাশ্যে আসবে এই নীতি। সেমিকনডাক্টর এবং ড্রোন নীতির খসড়াও চূড়ান্ত। শিল্পের চাহিদা বুঝে শেষ মুহূর্তে সামান্য কিছু বদল হতে পারে। কারণ রাজ্য এমন নীতি আনতে চাইছে, যার হাত ধরে কেন্দ্র ও রাজ্যের সমস্ত নিয়ম মেনে সংস্থাগুলি সব রকমের সুযোগ-সুবিধা পায়।'
উল্লেখ্য, বড় বড় বহুজাতিক সংস্থাগুলি আউটসোর্সিংয়ের জন্যে ব্যাক অফিস তৈরি করে থাকে। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সেই সব ব্যাক অফিসই🤪 হয় সংস্থার মেরুদণ্ড। সেই ব্যাক অফিসগুলি💜কেই গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার বলা হয়ে থাকে। এই সব গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টারে বিপুল কর্মসংস্থান হয়। বাংলার নতুন নীতি যদি বড় বড় সংস্থাকে এখানে টানতে পারে, তাহলে এই রাজ্যেও অনেক কর্মসংস্থান হবে। এমনকী অন্য রাজ্য থেকে তখন এখানে কাজ করার জন্যে আসতে পারে অনেকে। এদিকে বাবুল জানান, নিউটাউনে প্রায় ২০০ একর জমিতে যে সিলিকন ভ্যালি তৈরি করছে রাজ্য সরকার। ইনফোসিস, রিলায়্যান্স, ক্যাপজেমিনি, আইটিসি ইনফোটেক, ব্রিটিশ টেলিকমের মতো সংস্থাগুলি নাকি সেখানে জমি নিয়ে নির্মাণ কাজও শুরু করে দিয়েছে। এর আগে গত পরশুই জানা যায়, বাংলায় বিনিয়োগ করতে আসছে দুই ব্রিটিশ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। প্রসঙ্গত, সোমবার দু'দিনের জন্য রাজ্য সফরে এসেছিল ব্রিটেনের ১৭ জনের প্রতিনিধি দল। রিপোর্ট অনুযায়ী, রেডক এবং প্রেফারি নামের ওই দুই সংস্থা কলকাতায় বিনিয়োগ করতে চলেছে।