ট্রেন চাপলেন নিউ দিল্লি থেকে। ট্রেনের চাকা গড়াচ্ছে। টিকিট কাশ্মীরের বারামুল্লা পর্যন্ত। আর কয়েকদিন পরেই এটা বাস্তবে রূপ পেতে চলেছে। মোটামুটি জানুয়ারি মাসেই এই ট্রেনের চাকা🧔 গড়াতে শুরু করবে। উধমপুর,-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্ক( USBRL) প্রকল্প শীঘ্রই বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
কেবলমাত্র সাধারণ যাত্রীদের জন্য নয়, পর্যটকদের জন্য এটা অত্যন্ত সুখবর। ভেবে দেখুন, নিউদিল্লি থেকে ট্রেনটি ছেড়ে ক্রমেই এগোতে থাকবে সবুজ প্রান্তর ধরে। ধীরে ধীরে সেটা পাহাড়ি এলাকার উপর দিয়ে যেতে শুরু করবে। ট্রেনের জান▨ালা দিয়ে একবারে বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখুন, অ♒পূর্ব সেই দৃশ্য। ছবির মতো সুন্দর চারদিকটা। চেনাব ব্রিজের উপর দিয়ে যাবে এই ট্রেন।
অন্তত ৩৮টি টানেলের উপর দিয়ে এই ট্রেন যাবে। চারপাশে বরফে ঢাকা পাহাড়। তার মধ্যে দিয়ে যাবে এই ট্রেন। বারামুল্লা স্টেশনে ট্রেনটি থামার পরে চারদিকে একবার তাকিয়ে দেখুন। অপূর্ব কাশ্মীর। মন ভালো করে দেওয়া কাশ্মীর।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রেলপথ🐠ে উদ্বোধন করবেন। এবার রেলপথে যুক্ত হবে উত্তর কাশ্মীরের সঙ্গে দেশের রাজধানীর। দীর্ঘদিন ধরে এই স্বপ্ন ছিল বহু মানুষের। অবশেষে এটা সম্ভব হতে চলেছে।
প্রায় ৭০০ কিমি দীর্ঘ এই রেলপথ। দিল্লি থেকে বারামুল্লা পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন। কেন্দ্রীয় রেꦅল প্রতিমন্ত্রী রনভীত সিং বিট্টু জানিয়েছেন, যখন আমাদের হাইওয়ে ও রেলওয়েগুলি আরও দক্ষ হবে তখন আমরা আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতায় নামতে পারব। এর জেরে এলাকার আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে।
এই পথেই রয়েছে ভারতের দীর্ঘতম রেলটানেল। প্রায় ১২.৭৫ কিমি লম্বা। ১৩ কিমির মধ্য়ে অন্তত ৯২৭টি ব্রিজ রয়েছে এই রেলপথে। আর সবথেকে উল্লেখযোগ্য় হল এই রেলপথেই রয়েছে চ🅺েনাব ব্রিজ। নদীর উপর প্রায় ৩৫৯ মি🔯টার উচ্চতায়।
সব মিলিয়ে এই রেলপথে ট্রেনে চাপার অভিজ্ঞতা একেবারে অন্য🐟রকম। চারপাশে যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখা যাবে তাতেই মন জুড়িয়ে যাবে।
এমনকী এই রেলপথেই রয়েছে আইফেল টাওয়ারের থেকেও উচ্চ বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলওয়ে ব্রিজ। স্টিল আর কংক্রিট দিয়ে তৈরি এই ব্রিজ। ধর♎া যাক প্রবল ভূমিকম্প হল। কিছু হবে না এই ব্রিজের। ধরা যাক ২৬০ কিমি প্রতি ঘণ্♐টা গতিবেগে ঝড় উঠল। চারপাশে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু এখানে কিছুই হবে না। এতটাই সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়েছে এই রেলব্রিজ।