দুই কলেজের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্তཧ হয়ে উঠল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকা। বিপুল সংখ্যক পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয় পুলিশকে। সংঘর্ষের জেরে বহু পড়ুয়া আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার বিকেলে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের পড়ুয়ারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশে ৫৯৬টা মন্দির ভেঙেছে, একবার নয়, একশ’🉐 বার বলব’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই কলেজের পড়ুয়ারা লাঠিসোঁটা ও লোহার রড নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়, চলে ইটবৃষ্টি। যদিও কী কারণে এই সংঘ🐷র্ষ তা জানা যায়নি। তবে প্রায়ই এই দুই কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পু🐓লিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে ছুটে যান।
ধানমন্ডিꦐ জোনের সহকারী কমিশনার তরিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা কলেজের দুটি বাস ভাঙচুর করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এদিন বিকেল সাড়ে ৪ টের দিকে পুলিশ কয়েক কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। ঘটনার জেরে কার্যত অবরুদ্💯ধ হয়ে যায় রাস্তা। ওই রুটে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে ।
কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন,ঘটনায় শতাধিক পড়ুয়া আহত হয়েছেন। এদিন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন। প🎃রে তাতে আপত্তি উঠলে তারা বাইরে চলে যান।ঢাকা কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ, সকালে ঢাকা কলেজের এক ছাত্রকে একা পেয়ে সিটি কলেজের পড়ুয়ারা মারধর করে। দুপুরে ঢাকা কলেজের দুটি🌱 বাসে ফের তারা হামলা চালায়।
পরে সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যাপক একেএম ইলিয়াস বলেন, কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ইকবাল হোসেন আহত হয়েছেন। পরে ছাত্ররা তাঁকে উদ্ধার করে ভিতরে নিয়ে যায়। বারংবার উভয় কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ আটকাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, এই ঘটনার পর দুই কলে❀জের পড়ুয়াদের ভবিষ্যতে সংঘর্ষ এড়াতে সিটি কলেজকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি উঠেছে।