এমন কিছু করা উচিত নয়, যা দূর-দূরান্ত থেকেও পঞ্জাবিদের ভাবাবেগে আঘাত করে। জাতীয় সংগীতের পংক্তি উদ্ধৃত করে 'খলিস্তানি' বিতর্কে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পঞ্জাবিদের উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বলেন, 'কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিতে আমাদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যা দূর-দূরান্ত থেকেও আমাদের নাগরিকদের ভাবাবেগে আঘাত করে। যেখানে দেশের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধ🌱াপ্রদর্শন শুরু হয়েছে পঞ্জাব দিয়ে, পঞ্জাব, সিন্ধু, গুজরাট, মারাঠা...।'
রাজ্যপাল এমন সময় সেই বার্তা দিয়েছেন, যখন সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইপিএস অফি𝓡সার যশপ্রীত সিংকে ‘খলিস্তানি’ বলে দাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনার পরই গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেন, কেউ পাগড়ি পরলেই তাঁক🧔ে ‘খলিস্তানি’ বলে দাগিয়ে দেওয়া যায়? রাজ্য পুলিশের মুসলিম সম্প্রদায়ের অফিসারদের কি তাহলে পাকিস্তানি বলে দাগিয়ে দেওয়া হবে?
তারইমধ্যে রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা। তাঁরা মুরলিধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের একটি প্রতিনিধি দল। সেই দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয় যে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর বার🏅্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘আমি পঞ্জাবিদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আপনাদের সঙಞ্গে পুরো বাংলা দাঁড়িয়ে আছে। আপনাদের পাশে আছে পুরো ভারত। আপনাদের পাশে আছে পুরো সমাজ। আপনাদের পাশে আছে আমাদের সংস্কৃতি।’
আরও পড়ুন: Ma♓mata Banerjee♎: 'তুমি তাকে খলিস্তানি বলে দেবে?… আমিও অলচিকিতে লিখেছি…' ভাষা দিবসে জানালেন মমতা
যদিও শুভেন্দুর দাবি, বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কেউ ꦉসেরকম কোনও মন্তব্য করেননি। বরং সন্দেশখালির ঘটনা থেকে নজর ঘোরানোর জন্য সেই দাবি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ওই পুলিশ অফিসার রূঢ় আচরণ করেছিলেন। আমি মনে করি না যে আমি বা আমার কোনও সহকর্মী কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যক্তিগত মন্তব্য করেছেন। সস্তা রাজনীতি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতার কাছে নিজের নম্বর বাড়াতে চান এই অফিসার। আমরা কোনও সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে কোনও মন্তব্য করিনি।’