লোকসভা ভোটের আবহ কাটতে না-ক🐼াটতে ফের একবার সংবাদ শিরোনামে নিয়োগ দুর্নীতি। এবার আদালতে চার্জশিট পেশ করে বিস্ফোরক দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্তকারীরা বিচারালয়কে জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনকে বেআইনিভাবে চাকরি দিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলন ভাঙতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। তার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। এজন্য মোট ১২ জনকে শিক্ষক হিসাবে বেআইনি নিয়োগ দেয় SSC. তাদের সুপারিশ এসেছিল খোদ শিক্ষা দফতর থেকে।
আরও পড়ুন - দ🍌ুর্নীতি করে টাকা 😼দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের চাকরি ছাড়তেই হবে: সুকান্ত
পড়তে থাকুন - মমতার ঔদ্ধত্যেই রাজ্যে থমকে বন্দর তৈরির কাজ: জাহাজ প্রতিমন্ত্ꦐরী শান্তনু ঠাকুর
চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ভাঙার জন্য চাকরিপ্রার্থীদেরই কয়েকজনকে বেআইনি নিয়োগ দিয়♉েছিল রাজ্য সরকার। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নবম দশমে ৩ জন ও একাদশ দ্বাদশে ৯ জনকে বেআইনি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগের সুপারিশ করেছিল শিক্ষা দফতর।
চার্জশিটে জানানো হয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও নবম – দশমে ১৮৩ জন ও একাদশ – দ্বাদশে ৩৯ জনকে সুপারিশপত্র দিয়েছিল SSC. SSCর আধিকারিক সমজিৎ আচার্জ জেরায় একথা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, SSC উপদেౠষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহা মিডল ম্যান প্রশান্ত রায়ের কর্মচারী প্রদীপ সিংয়ের মাধ্যমে এই সমস্ত সুপারিশ SSCকে পাছিয়েছিলেন। সেই সমস্ত সুপারিশপত্র প্রিন্ট করিয়েছিলেন সমরজিৎবাবু নিজে। এদের মধ্যে নবম – দশমে ৩ জন ও একাদশ – দ্বাদশে ৯ জন এমন প্রার্থী ছিল﷽েন যারা নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের তৎকালীন মুখ ছিলেন। এই ১২ জনের সুপারিশ যদিও প্রদীপ সিংয়ের মাধ্যমে আসেনি। এসেছিল সরাসরি শিক্ষা দফতর থেকে।
ইডির এই চার্জশিটকে হাতিয়ার করে ফের একবার তৃণমূলের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়েছে বাম বিজেপি। বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্য সরকারের কাজই হল কোথাও কোনও বিক্ষোভ হলে প্রথমে বৈঠকের নামে প্রলোভ🍌ন দ♏েওয়া, তাতে কাজ না হলে ভয় দেখানো। তাতেও কাজ না হলে তাদের চাকরি বা টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করা। এখানেও তাই হয়েছে।’
আরও পড়ুন - অপহরণ,ౠ মারধর, হুমকিসহ 🥃একাধিক অভিযোগ, সোহমের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে বিজেপি
বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রথম থেকেই বলেছি এই দুর্নীতি পরিকল্পিত। আর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এই বেআইনি নিয়োগের সঙ্গে সুপার নিউমেরারি পদ তৈরির যোগ রয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন ঢ🎃াকার জন্য দুর্নীতি। কতটা বেপরোয়া হলে এটা করা যায়!’