লকডাউনের পর সরকারি নির্দেশিকায় স্বাভাবিক হয়েছে গণপরবিহণ পরিষেবা। তবে সংক্রমণের ভয়ে সীমিত সংখ্যায় চলছে লোকাল ট্রেন। তাই বেশিরভাগেরই ভরসা বাস পরিষেবা। বিশেষ করে কলকাতার অফিসযাত্রীরা বাসে করেই যাতায়াত জারি রেখেছেন। তবে রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা কম। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও বহু রুটে বাসের দেখা পাচ্ছেন না যাত্রীরা। মাঝে বাসের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে সরকার ও বাসমালি🍷কদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। সরকারি ভাবে তারপর বাসের ভআড়া না বাড়লেও কলকাতা শহরে প্রায় সকল রুটেই বর্ধিত হারে ভাড়া নেওয়া হয় বাসে। যাত্রীরাও সেট🐓া একপ্রকার মেনে নিয়েছেন। তবু বাসের সংখ্যা কম কেন? এই প্রশ্নের জবাব জানতে চেয়ে এবার বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলিকে চিঠি দিল রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, অধিকাংশ রুটে বর্ধিত হারে বাস ভাড়া নেওয়া হলেও সরকারি ভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি হয়নি এখনও। এদিকে অতিমারীর সময় ব্যꦗবসায় বিপুল ক্ষতি হয়েছ💧ে। লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় এখনও বাসের যাত্রী সংখ্যা অতিমারী-পূর্ব পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এই পরিস্থিতিতে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে অনড় লোকসানে ধুকতে থাকা বাসমালিকরা। এই আবহে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পাশাপাশি কোন রুটে কত বাস চলছে, তার বিস্তারিত খতিয়ান চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিকে বর্ধিত ব🐬াসভাড়া নেওয়ার জেরে বহু বাস মালিককে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। অভিযোগ, সরকারি ভাবে বাসের ভাড়া না বাড়লেও যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত বাসের ভাড়া। ডানলপ থেকে গড়িয়𒁃াহাট যেখানে সরকারি বাসে গেলে দিতে হয় ১৩ টাকা, সেখানে বেসরকারি বাসে গেলে এই একই রুটে যাত্রীকে ২০ টাকা বা তার বেশি দিতে হয় অনেক ক্ষেত্রে। আবার বাসের ভাড়া নিয়ে কনডাক্টারের সঙ্গে যাত্রীদের বচসা নিত্যদিনের বিষয়। এই আবহে সরকারি ভাবে বাসের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে বাসমালিকরা নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বর্ধিত ভাড়া নিলে পার্মিট বাতিল করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে রাজ্য। পাশাপাশি কোভিড অতিমারী আবহে আর্থিক চাপে থাকা সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ সৃষ্টি করতে চায় না সরকার। এরই মধ্যে বাস মালিকদের দাবি, এভাবে বাস চালানো সম্ভব নয়। এবার কোন রুটে কত বাস চলছে তার হিসাব চলব করা হল পরিবহণ দফতরের তরফে।