প্রধানমন্ত্রীর দফতরের চিঠি পাওয়ার পরে ১ জুন থেকে পূর্ণ শ্রমশক্তির সাহায্যে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জুটমিল চালু করার সিদ্ধান্ত নিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় জুটমিল চালু করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীবা সিনহাকে চিঠি পাঠান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবে। ওই চিঠিতে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে রাজ্যের ১০,০০০ জুটমিলে পূর্ণ শ্রমশক্তি নিয়োগ করে কাজ চালু করার আবেদন জানানো হয়। ৪ জুনের মধ্যে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের জবাব চাওয়া হয় চিঠিতে। সম্পূর্ণ শ্রমশক্তি প্রয়োগ করে গত এপ্রিল মাস থেকেই পশ্চিমবঙ্গের জুটমিলগুলি চালু করার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছিল দিল্লি। লকডাউনে বিভিন্ন রাজ্যে খাদ্য সামগ্রী পাঠানোর জন্য চটের বস্তার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সেই উদ্দেশে অবিলম্বে জুটমিল চালু করার জন্য বার বার কেন্দ্রের তদ্বির শুরু হয়। গত ৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাংলার চটকলগুলি চালু করার জন্য আর্জি জানান তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তিনি জানান, অবিলম্বে চাল রাখার জন্য তেলাঙ্গনায় ২০ কোটি চটের বস্তার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।লকডাউনের মাঝে প্রথমে ১৫% কর্মীর সাহায্যে কিছু সংখ্যক চটকল চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। পূর্ণশক্তিতে বাংলার জুটমিলগুলি চালু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিল্পমহল। জাতীয় জুটমিল অ্যাসোসিয়েশনের (IJMA) শীর্ষস্থানীয় সদস্য আর কে পোদ্দার বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। বিভিন্ন রাজ্যে চটের বস্তার প্রবল অভাব দেখা দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা অত্যন্ত সদর্থক।’উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রোধে দেড় মাসব্যাপী লকডাউনের কারণে জাতীয় স্তরে পাটশিল্পে মোট ১,২৫০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলার চটকলগুলি ধুঁকছে, জানিয়েছে IJMA। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রাজ্যের পাটশ্রমিকদের ভবিষ্যৎ।