𝔉 দীপাবলির রাতে বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ছিল কলকাতা। অনলাইন বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ সংস্থা এয়ার ভিস্যুয়ালের এই তথ্য সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সভাপতি কল্যাণ রুদ্র। তিনি বলেন, দিল্লির তো পরের কথা, দীপাবলির রাতে মুম্বইয়ের থেকেও বাতাসের মান ভাল ছিল কলকাতায়।
⛄সংবাদসংস্যা ANIকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কল্যাণবাবু বলেন, ‘দিল্লির কথা ছাড়ুন, মুম্বইয়ের থেকেও বাতাসের মান ভালো ছিল কলকাতায়। সমুদ্রের পাড়ে হওয়ায় চেন্নাইয়ের কিছু অবস্থানগত সুবিধা রয়েছে। তাই চেন্নাইকে বাদ দিলে দেশের চার মহানগরের মধ্যে বাতাসের মান সব থেকে ভালো ছিল কলকাতায়।’
๊তিনি বলেন, ‘আমারা রাজ্যে ১৭৫টি জায়গায় বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ করি। সেই তথ্য অনুসারে রাজ্যে PM ২.৫-এর পরিমান ছিল ৭৪ মাইক্রোগ্রাম। সর্বনিম্ন ৪৩ মাইক্রোগ্রাম ও সর্বোচ্চ ১১২ মাইক্রোগ্রাম। PM ১০-এর গড় পরিমান ছিল ১৩৬। সর্বনিম্ন ৭৭ মাইক্রোগ্রাম ও সর্বোচ্চ ২০৭ মাইক্রোগ্রাম।’
𝓰তিনি আরও বলেন, ‘মধ্য কলকাতায় বালিগঞ্জের মতো জায়গায় PM ১০-এর গড় মাত্রা ছিল ৮০ মাইক্রোগ্রাম। যা নিরাপদ মাত্রা ১০০ মাইক্রোগ্রামের মধ্যে।’ তিনি বলেন, ‘গোটা দেশে আমাদের দল সব থেকে নিবিষ্ট ভাবে বাতাসের দূষণমাত্রা পর্যবেক্ষণ করেছে। সেজন্য আমি গর্বিত।’
✱কল্যাণবাবু একথা বললেও, রবিবার বিকেলের পর থেকে কলকাতাসহ লাগোয়া এলাকায় বাতাসের মান ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ বলে উল্লেখ করেছিল বেসরকারি সংস্থা। সন্ধ্যায় পর থেকে দূষণে দ্বিতীয় স্থানে ছিল কলকাতা। রাত বাড়তে তৃতীয় স্থান পায় মহানগর। কল্যাণবাবুর মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে তাহলে কাদের তথ্য সঠিক? কোন তথ্যে ভরসা করবে জনগণ?