গার্ডেনরিচে অবৈধ বহুতল ভেঙে পড়ার জন্য ইঞ্জিনিয়ার ও বিল্ডিং বিভাগকে দায়ী করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘটনার পরদিন সকালে গার্ডেনরিচে পৌঁছেই বিল্ডিং বিভাগকে দায়ী করেন তিনি। বুধবার পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ꦚইঞ্জিনিয়ারকে চরম ভর্ৎসনা করেন তিনি। মেয়রের তরফে একতরফাভাবে তাঁদের দায়ী কর✃ার বিরোধিতায় এবার আন্দোলনে নামলেন কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। অবিলম্বে মেয়রকে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবিতে শুক্রবার পুরসভার বিভিন্ন বিভাগে মিছিল করে স্লোগান তুললেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: সুজাতা মণ্ডলকে সে💮ন্সর করল তৃণমূল কংগ্রেস, দলীয় বৈঠক থেকে জারি হয়েছে নির্দেশ
গার্ডেনরিচে বহুতল ভ🏅েঙে পড়ার পরই ইঞ্জিনিয়ারদের দায়ী করেছিলেন মেয়র। তিন ইঞ্জিনিয়াকরকে শো কজ করা হয়। বুধবার এক বৈঠকে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে দাঁড় করিয়ে মেয়র বলেন, ‘হয় আপনি অপদার্থ, অথবা চোর’। মেয়রের এই মন্𝐆তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে। বৃহস্পতিবারই মেয়রের ওই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন কলকাতা পুরসভা ইঞ্জিনিয়ার ও সহকারী সেবা ইউনিয়নের নেতারা। শুক্রবার রীতিমতো পুরসভার অন্দরে মিছিল করে মেয়রের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন তাঁরা। দাবি করেন, মেয়রকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। এমনকী পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের পদোন্নতি দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে বলেও দবি করেন তাঁরা।
কলকাতা পুরসভার করণিক সংগঠনের সভাপতি অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘যে বিল্ডিংগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হয় তার রিপোর্ট অফিসাররা দেন। বাকি যে বিল্ডিংগুলো বেআইনি সেটা ওই রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যায়। সওেই রিপোর্ট🎀 হাতে থাকার পরেও কাউন্সিলর যদি বলে বেআইনি বিল্ডিং কোনটা জানি না, এটা অসম্ভব। মিথ্যে কথা বলছে।’
আরও পড়ুন: মডিউল গড়ে নিয়োগ দুর্নীতি💎? 'জালি' চাকরির মাথা? কেষ্টর জౠেলার মন্ত্রীর বাড়িতে ED
ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠনের সম্পাদক মানস সিংহ বলেন। যে ইঞ্জিনিয়ারকে 🀅বুধবার ফিরহাদ হাকিম ধমক দিয়েছেন তিনি বিশেষভাবে সক্ষম। অথচ ওই ইঞ্জিনিয়ারের হাতেই ১৩৪, ১৩৮ ও ১৪০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব রয়েছে। কেন একজন বিশেষভাবে সক্ষম যুবককে ৩টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? মেয়র๊ একজন বিশেষভাবে সক্ষম যুবক সম্পর্কে এরকম মন্তব্য করতে পারেন না। যে ভাষায় একজন ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে মেয়র কথা বলেছেন, তাতে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।
কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশ্ন, কেন রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের পাপের জন্য তাঁরা দায়ী হবেন? হাতে রাজদꩲণ্ড থাকলেই কি যে কোনও ভাবে যে কাউকে দায়ী করে দেওয়া যায়? সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, মেয়র ক্ষমা না চাইলে আগামীতে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।