তিনি একজন ভারতীয়। তাঁর কাছে ভারতীয় ভোটার ও রেশন কার্ড রয়েছে। তাসত্ত্বেও তাঁকে 🧜বাংলাদেশি বলে দাবি করা হয়েছে। নিজেকে ভারতীয় প্রমাণের জন্য ৭ বছর ধরে আইনি লড়াই করছেন ওই মহিলা। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে প্রমাণিত হল তিনি একজন ভারতীয়। এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, জীবনের অধিকার বলতে সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায্য বিচারের অধিকারকেও বোঝায়।
না꧃ম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মহিলাকে ২০১৫ সালে হিলি আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের কাছে গ্র🐷েফতার করেছিল পুলিশ। সেই সময় মহিলার বয়স ছ🧸িল মাত্র ২০ বছর। তাঁর আইনজীবী জানান, তিনি ভারতﷺীয় হওয়ায় তাঁর কাছে তখন পাসপোর্ট ছিল না। পুলিশ তাঁকে একজন বাংলাদেশি এবং অনুপ্রবেশকারী বলে অভিযুক্ত করে। মেয়েটি এর প্রতিবাদ জানান। কিন্তু তা না শুনে তাঁর বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর অধীনে মামলা রুজু করা হয়। এরপর মামলা ওঠে নিম্ন আদালতে। সেখানে চার বছর পরে তাঁকে কারাদণ্ড দেয় আদালত। এদিকে মহিলার বাবা তাঁকে খুঁজে না পেয়ে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে তিনি হিলি থানায় গিয়ে জানান যে তাঁর মেয়ে ভারতীয়। তিনি নিম্ন আদালতে গিয়ে বলেন তাঁর মেয়ের এদেশের স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তিনি মেয়ের ভারতীয় রেশন কার্ড এবং ভোটার কার্ডও দেখান। তবে নিকন আদালত অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়।