গত ২২ এপ্রিলের (২০২৫) পহেলগাঁও জঙ্গি হামলাকে কাশ্মীর সমস্যার সঙ্গে যুক্ত করেছে 'অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন' (ওআইসি)! মঙ্গলবার (৬ মে, ২০২৫) তাদের এই অবস্থানকে তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানাল ভারত। নয়াদিল্লি স্পষ্ট বার্তা, ৫৭ সদস্যের এই সংগঠনটি সীমান্ত পেরিয়ে আসা সন্ত্রাসকে কার্যত অস্বীকার করেছে! তাদের এই অবস্থান 'উদ্ভট'!
দক্ষিণ এশিয়ার 'নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি' নিয়ে ওআইসি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবং এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে সংযম ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে তারা দাবি করেছে, 'অমীমাংসিত' কাশ্মীর সমস্যাই এই অঞ্চলে 'স্থায়ী শান্তি স্থাপনের প্রধান চ্যালেঞ্জ'!
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই প্রসঙ্গে বলেন, ওআইসি 'পাকিস্তানের নির্দেশে' তাদের বিবৃতি জারি করেছে। তারা এই হামলায় সীমান্তে পেরিয়ে আসা সন্ত্রাসের উপস্থিতি অস্বীকার করেছে। যা একেবারেই 'উদ্ভট'!
তিনি আরও বলেন, 'এটি পাকিস্তানের আরও একটি অপচেষ্টা, যে দেশ দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত সন্ত্রাসে জড়িত, তারা ওআইসি গোষ্ঠীকে বিভ্রান্ত করে, নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য একটি বিবৃতি জারি করানোর চেষ্টা করছে।... আমরা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ওআইসি-র এই হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করছি।'
প্রসঙ্গত, গত ২ মে ওআইসি-র জারি করা ওই বিবৃতিতে, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির লাগাতার অবনতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংযম থাকা জরুরি বলে বার্তা দিয়েছে। সেইসঙ্গে, অবিলম্বে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে পুনরায় আলোচনা শুরু করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই গোষ্ঠীটি 'আন্তর্জাতিক আইন এবং রাষ্ট্রসংঘের সনদ অনুসারে শান্তিপূর্ণ উপায়ে' ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মতবিরোধ মেটানোর পক্ষে সওয়াল করেছে।
সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করার পাশাপাশি ওআইসি 'জম্মু ও কাশ্মীর প্রশ্নের প্রতি তার সমর্থন' ফের প্রকাশ করেছে এবং বাকি বিশ্বকে 'জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা তীব্র করার' আহ্বান জানিয়েছে!