মহারাষ্ট্রে ফের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল ৩৩ বছর বয়েসি এক সাধুর। শনিবার রাতে নান্দেড়ের উমরি এলাকায় আশ্রমের ভিতর থেকে ওই সাধু ছাড়াও তাঁর এক সঙ্গীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় বছর পঁচিশের এক মাদকাসক্ত তরুণকে খুঁজছে পুলিশ।পুলিশ সুপার বিজয়কুমার মগর জানিয়েছেন, নানদেড়ের নাগথানা গ্রামের নির্বাণী মঠের ওই সাধু ও তাঁর সঙ্গীকে হত্যার অভিযোগে সাইনাথ লিঙ্গারে নামে এক তরুণকে খোঁজা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত একই গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ডাকাতির পরিকল্পনা করে শনিবার গবীর রাতে নির্বাণী মটে চড়াও হয় লিঙ্গারে। সেখানে মঠের সাধু স্বামী রুদ্র প্রতাপ মহারাজকে সে শ্বাসরোধ করে খুন করে। মঠের ভিতরেই পাওয়া গিয়েছে ওই গ্রামের বাসিন্দা ভগবান শিন্ডের (৫০) দেহ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় ভগবান ও লিঙ্গারেকে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। পুলিশের সন্দেহ, এর পর মঠে ডাকাতি করার পরিকল্পনা করলে তা মানতে রাজি হয়নি শিন্ডে। এই নিয়ে বচসার জেরে তাকে রাত একটা নাগাদ গলা টিপে হত্যা করে লিঙ্গারে। শিন্ডের দেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতচিহ্নও দেখা গিয়েছে।পুলিশের দাবি, এর পর মঠে ঢুকে ডাকাতি করতে গিয়ে ভোর চারটে নাগাদ স্বামী রুদ্র প্রতাপ মহারাজকে তাঁর ঘরে শ্বাসরোধ করে খুন করে লিঙ্গারে। মঠের অন্য ঘরে ঘুমিয়ে থাকা ৩-৪ জন খুনের সময় কিছু টের পাননি বলেও জেনেছে পুলিশ। এর পর গ্রাম ছেড়ে পালায় অভিযুক্ত লিঙ্গারে। পুলিশের দাবি, তার বিরুদ্ধে এর আগে গাড়ি চুরির অভিযোগও উঠেছিল।পলাতক সাইনাথ লিঙ্গারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (হত্যা, ২০১ (সাক্ষ্য-প্রমাণ লোপাট) ও ৪৫২ (বিনা অনুমতিতে প্রবেশ ও আঘাত দেওয়া) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঠ থেকে মূল্যবান সামগ্রী চুরি গিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।প্রসঙ্গত, ১৬ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের পালঘর এলাকার গাড়চিঞ্চলে গ্রামে দুই সাধু-সহ তিন জন গণপিটুনির শিকার হন। ঘটনায় মারা যান এক বৃদ্ধ সাধু। গ্রেফতার করা হয় ঘটনায় জড়িত ১৬০ জনকে। অভিযুক্ত ১০ নাবালককে ভিওয়ান্দির জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। সাধুহত্যার অনুসন্ধান করছে রাজ্য সিআইডি। গত ১২ মে আদালতে হাজির করা হলে এফআইআর-এ উল্লিখিত অভিযুক্তদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। সাধু হত্যার জেরে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে পালঘরের তৎকালীন পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট গৌরব সিংকে। তাঁর বদলে দায়িত্ব নিয়েছেন দত্তাত্রেয় শিন্ডে।