এতদিনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। কিন্তু গালওয়ান সংঘর্ষের পর উত্তেজনা এতটাই বেড়েছে যে পূর্ব লাদাখের সীমান্ত বিবাদ প্রথমবার আলোচনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই। গত মাসের গোড়ার দিক থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পূর্ব লাদাখে কার্যত মুখোমুখি সংঘাতে অবতীর্ণ হয় ভারত এবং চিন সেনা। সামরিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছিল। তারইমধ্যে গালওয়ানের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আসরে নেমেছেন দু'দেশের বিদেশমন্ত্রী। বুধবার সীমান্ত বিবাদ নিয়ে কথা বলেন। গালওয়ান উপত্যকায় ‘গুরুতর’ পরিস্থিতিকে উপযুক্তভাবে সামলানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। দুই বিদেশমন্ত্রীর ফোনালাপের আগে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান গালোয়ানে সংঘর্ষে চিনা সেনার হতাহত নিয়ে বুধবার কোনওরকম মন্তব্য করেননি চিনের প্রতিনিধি। কার্যত মঙ্গলবারের বক্তব্যের প্রতিটা শব্দই বুধবার তুলে ধরেন তিনি। অর্থাৎ সংঘর্ষের দায় ভারতের উপর চাপানোর পথেই হাঁটেন বেজিংয়ের প্রতিনিধি। তিনি বলেন, 'ঠিক এবং ভুল দুটোই একেবারে পরিষ্কার। ঘটনাটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা চিনের দিকে হয়েছে এবং এটার জন্য চিনকে দোষারাপ করা যায় না। দু'পক্ষই কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করছে। সার্বিকভাবে সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য।'