মূলত খাদ্যদ্রব্যের চড়া দামের কারণে অনেকটাই বৃদ্ধি পেল খুচরো মুদ্রাস্ফীতি। ডিসেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৭.৩৫ শতাংশ। ডিসেম্বর ২০১৮এ মুদ্রাস্ফীতি ছিল ২.১১ শতাংশ। নভেম্বর ২০১৯এ বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৫৪ শতাংশ। কিন্তু এবার প্রত্যাশা ছাপিয়ে ৭.৩৫ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি হল খুচরো পণ্যের দামে।জুলাই ২০১৪র পর প্রথম এতটা বাড়ল খুচরো মুদ্রাস্ফীতি। এর জন্য মূলত দায়ী খাদ্যপণ্যের বর্ধিত মূল্য। গত মাসে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে ১৪.১২ শতাংশ। ২০১৮ ডিসেম্বরে দাম কমেছিল ২.৬৫ শতাংশ।খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে সব্জির দাম বেড়েছে ৬০.৫ শতাংশ। ডালের দাম বেড়েছে ১৫.৪ শতাংশ, মাংস ও মাছের ৯.৬ শতাংশ। জানুয়ারিতে নতুন আনাজ উঠলে দাম কিছুটা কমবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। একদিকে অর্থনীতির হাল খারাপ। অন্যদিকে হুহু করে বাড়ছে দাম। কী দাওয়াইতে চাঙ্গা হবে অর্থনীতি, এখন সেটা ঠিক করাই আরবিআই সব নীতি নির্ধাকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার আরবিআইকে বলেছে যে মুদ্রাস্ফীতি যেন ছয় শতাংশ না ছাড়ায়। এবার সেই মাত্রা অতিক্রম করে গেল। এবার মুদ্রাস্ফীতির ওপর কাবু পাওয়ার জন্য কী করে আরবিআই, সেদিকেই নজর সবার।