মোট ১,০১৬ জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছ𒁃ে। তাঁদের মধ্যে ৩৪৭ জন 'জেনারেল' প্রার্থী। বাকি ৬৬৯ জন প্রার্থী বিভিন্ন সংরক্ষিত তালিকার আওতায় আছেন। অর্থাৎ এবার ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার শেষে চাকরির জন্য যতজন প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩৪.১৫ শতাংশ প্রার্থী ‘জেনারেল’ ক্যাটেগ🌠রির। ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, ৩৪৭ জন জেনারেল প্রার্থীর নাম সুপারিশ করা হয়েছে। আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির প্রার্থীর সংখ্যা হল ১১৫। ৩০৩ জন অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) প্রার্থীর নাম সুপারিশ করা হয়েছে। তফসিলি জাতিভুক্ত প্রার্থীর সংখ্যা হল ১৬৫। অন্যদিকে, ৮৬ জন তফসিলি উপজাতিভুক্ত প্রার্থীর নাম সুপারিশ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'সিমার হার্ট ফাউন্ডেশন'-র হরমনপ্রীত সিং বলেন, 'এই বছর সিভিল সার্ভিসেস সিলেকশন প্রক্রিয়ায় মাত্র ৩৪ শতাংশ জেনারেল🌜 প্রার্থী (সুযোগ পেয়েছেন)। যা ১৯৮৮ সালে ছিল ৭৬ শতাংশ। আর সেই ছবিটা পুরোপুরি পালটে গিয়ে ৭৬ শতাংশ (প্রার্থী) কোনও না কোনওভাবে সুবিধার অধিকারী। আমরা নাদেল্লা, পিচাই, বাঙ্গা, এবং নুয়িদের নিয়ে উচ্ছ্ব𝓀াস প্রকাশ করি, কিন্তু এটা কিন্তু এটা অনুভব করতে পারছি না যে ভারতে মেধা হারানোর বিষয়টি উদযাপন করছি।'
যদিও পালটা এক নেটিজেন বলেন, ‘আপনি কী সুন্দরভাবে আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির প্রার্থীদের এড়িয়ে গেলেন। যাঁরা অসংরক্ষিত ক্যাটেগরির আওতায় পড়েন।’ সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হরমনপ্রীত বলেন, ‘এখানে মূল বিষয়টা হল যে ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য নেওয়া ইতিবাচক পদক্ষেপ। সিভিল সার্ভিসে আমার ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা (থেক💜ে বলতে পারি যে) আমি অনেক বেশি তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতিভুক্ত প্রার্থীদের দেখেছি, যাঁরা দ্বিতীয় প্রজন্মের আমলার পরিবার থেকে এসেছেন বা অধিকাংশ জেনারেল ক্যাটেগরির প্রার্থীর থেকে ক্রিমি লেয়া༺র থেকে এসেছেন।’
তারইমধ্যে এক নেটিজেন বলেন, 'আর্থিক অবস্থার নি⛄রিখে সংরক্ষণ থাকা উচিত, বর্ণের ভিত্তিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকা উচিত নয়।' যদিও এক নেটিজেন বলেন, ‘আপনি (হরমনপ্রীত) অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীদের পুরোপুরি এড়িয়ে গেলেন।’
২০২৩ সালের ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষা
ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (UPSC) তরফে জানানো হয়েছে, ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস), ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস), ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস (আইএফএস), সেন্ট্রাল সার্ভিসেস গ্রুপ 'এ' এবং সেন্ট্রাল সার্ভিসেস গ্রܫুপ 'বি' পদে নিয়োগের জন্য মোট ১,০১৬ জন প্রার্থীর নাম সুপারিশ করা হয়েছে।