রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ সংক্র🥀ান্ত মামলাটি বিচারাধীন কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই গতকাল, বুধবার উচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য যে সংশোধিত দ্বিতীয় প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছিল, সেটিও বৈধ নয়। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞাণনম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২০২২ সালে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের জন্য পর্ষদের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, সেটি অবৈধ। এরপর ২০২৩ সালে সংশোধন করে দ্বিতীয় যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তাও অবৈধ। এই আবহে যে সব চাকরিপ্রার্থীর নাম প্রথম তালিকায় ছিল না তবে দ্বিতীয় তালিকায় ছিল, তাঁদের চাকরি বাতিল হবে আপাতত। এই আবহে উচ্চ আদালতের নির্দেশ, প্রথম তালিকা থেকে বাদ পড়া সংরক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদেরকে চাকরি দিতে হবে।
এদিকে 🥂প্রথম তালিকায় নাম না থাকা যে সব চাকরিপ্রার্থীদের নাম দ্বিতীয় তালিকায় ছিল, তাঁরা যে বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন এমনটাও বলছে ন༒া আদালত। এই আবহে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বেধানী ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রথম তালিকায় যে সব প্রার্থীদের নাম আছে, তাদের নিয়োগের পর ভবিষ্যতে যদি শূন্যবদ থেকে যায় বা পরে যদি নতুন করে শূন্যপদ তৈরি হয়, তাহহে সরকার মেধার ভিত্তিতে এই সব চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করতে পারবে। এই আবহে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আপাতত যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, ভবিষ্যতে তাঁদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ খোলা থাকছে। যদিও আপাতত তাঁদের কপালে চিন্তার গভীর রেখা দেখা দিতে চলেছে।
এদিকে বুধবার হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় আগেই যারা নিযুক্ত হয়েছেন তাঁদের সমান হতে চলেছে নবনিযুক্তদের কর্মজীবন। পুলিশে সিনিয়রিটিও সেভাবেই হিসেব করা হবে। যদিও আগের কোনও বেতন বা ভাতা নবনিযুক্তদের দেওয়া হবে না। যবে থেকে তাঁদের চাকরি শুরু হবে, তবে থেকেই বেতন ꦉহবে তাঁদের। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য প্রকাশিত প্যানেলে সংরক্ষণের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়♕েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই মর্মে স্যাট-এ মামলা দয়ের হয়েছিল। এরপর স্যাটের নির্দেশে তৈরি হয় দ্বিতীয় প্যানেল। তবে তাতেও সন্তুষ্ট হননি মামলাকারীরা। মামলা গড়ায় হাই কোর্টে। এই আবহে এবার হাই কোর্ট জানাল, রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য যে সংশোধিত দ্বিতীয় প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছিল, সেটিও বৈধ নয়।