একবার নয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের স্নাতক স্তরে একাধিক💎বার 'এক্সিট'-র সুযোগ থাকবে। অর্থাৎ চার বছরের 🦄অনার্স কোর্সের বিভিন্ন স্তরে সংশ্লিষ্ট কোর্স ছেড়ে দিতে পারবেন পড়ুয়ারা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, চার বছরে অনার্স কোর্সে মোট তিনবার 'এক্সিট' অপশন থাকবে। প্রথম বর্ষ (দ্বিতীয় সেমেস্টার), দ্বিতীয় বর্ষ (চতুর্থ সেমেস্টার) বা তৃতীয় বর্ষের (ষষ্ঠ সেমেস্টার) শেষে সংশ্লিষ্ট অনার্স কোর্স ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই অবশ্য সেই পথে হাঁটেনি। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে মাত্র একবারই 'এক্সিট' অপশন থাকছে। প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর এবং সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় যেমন তৃতীয় বর্ষের (ষষ্ঠ সেমেস্টার) পর 'এক্সিট' অপশন রেখেছে।
গত শুক্রবার বিভিন্ন কলেজগুলিকে পাঠানো নির্দেশিকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নি♌য়ম মেনেই নয়া শিক্ষাবর্ষ (২০২৩-২৪) থেকে চার বছরের অনার্স কোর্স চালু করা হবে। মোট আটটি সেমেস্টার থাকবে। প্রতিটি সেমেস্টার ছ'মাস চলবে। প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম এবং সপ্তম সেমেস্টার শুরু হবে জানুয়ারি থেকে। আর জুলাই থেকে দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ এবং অষ্টম সেমেস্টার শুরু হবে। আটটি সেমেস্টারের মধ্যে 'সামার ইন্টার্নশিপ', 'ইন্টার-ডিসিপ্লিনꦕারি কোর্স'-র মতো সুযোগ-সুবিধা থাকছে। যা এতদিন থাকত না।
কোর্সের মাঝপথেই 'এক্সিট'-র পথে হাঁটলে কী হবে?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট অনার্স কোর্সে ভরতি হওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় যদি ওই পড়ুয়া সেই কোর্স ছেড়ে দিতে চান, সেটা তিনি করতে পারবেন। তাঁকে অন্য কোনও কোর্স বা বিষয় নিয়ে নতুন করে ভরতি হতে হবে। তবে তাঁকে রেজিস্ট্রেশনের সাত বছরের মধ্যেই সব সেমেস্টারে উত্তীর্ণ হতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, কলেজে অনার্স কোর্স নিয়ে ভরতি হওয়ার সাত বছরের মধ্যে সব সেমেস্টারে পাশ করতে হবে। সেইমতো ও🐽ই পড়ুয়া সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র পাবেন।