দাবা খেলতে ভালোবাসে। কিন্তু বাড়িতে তেমন কেউ দাবা খেলতে পারে না। তা নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ ঝরে পড়ল আইসিএসই পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী সম্বিত মুখোপাধ্যায়ের গলায়। তবে সেজন্য দাবা খেলা আটকায়নি পূর্ব বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্রের। সে জানিয়েছে, একা-একাই দাবা খেলতে থাকে। কখনও কখনও কম্পিউটার বা অন্য খেলোয়াড়ের সঙ্গে দাবা খেল⛎ে বলে জানিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র।
রবিবার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া𝔉ন সার্টিফিকেট এগজামিনেশনের (CISCE) দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা আইসিএসইয়ের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। দেশে প্রথম হয়েছে মোট ন'জন। তাদের মধ্যে আছে পূর্ব বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র সম্বিত। ৫০০-তে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯। আর সেই ফলাফলে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছে সম্বিত। পার্কাস রোড এলাকার বাড়িতে বসে সে জানিয়েছে, দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় রেজাল্ট যে ভালো হবে, সেটা জানত। কিন্তু একেবারে যে সর্বভারতীয় মেধাতালিকার প্রথমেই তার নাম থাকবে, সেটা কখনওই ভাবতে পারেনি। আর সেই অভাবনীয় বিষয়টা হওয়ায় অত্যন্ত আনন্দিত সে।
তবে সম্বিত সারক্ষণ যে পড়াশোনা করত, সেটা মোটেও নয়। সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র জানিয়েছে, অবসর সময় গ🍃িটার বাজাতে ভালোবাসে। খেলা দেখতে ভালোবাসে। ক্রিকেট দেখে। আর দাবার প্রতি বাড়তি একটা আকর্ষণ আছে। সম্বিতের কথায়, ‘আমি পড়াশোনা ছাড়াও গিটার বাজাতে পারি। ছবি আঁকতে পারি এবং দাবার নেশা আছে আমার। এছাড়াও ক্রিকেট দেখতে খুব ভালোবাসি। (আইপিএলও) দেখছি।’ সে আরও বলেছে, ‘আসলে আমার পরিবারের কেউ তেমন দাবা খেলে না। আমি নিজে-নিজেই খেলি। নিজে-নিজেই দাবা শিখেছি। আমি অন্যান্য খেলোয়াড় বা কম্পিউটারের সঙ্গে দাবা খেলি।’
তারইমধ্যে নিজের ভবিষ্যতের লক্ষ্য ঠিক করে নিয়েছে সম্বিত। সে জানিয়েছে, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। তাই আইআইটিতে ভরতি হতে চায় বলে জানিয়েছে সম্বিত। তার বাবা মনোজ মুখোপাধ্যায় কেমিক্যাল বিজ্ঞানী।🦂 ত🌳ার মা দেবীপুর স্টেশন গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এ🐠বার HT App বাংলায়। HT💟 App ডাউনলোড করার লিঙ্ক