এমবিবিএস ডিগ্রির জন্য ইউপির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬.৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন, ক্লাস শুরু হওয়ার আগেইꦑ একমাসের মধ্যেই এমবিবিএস ডিগ্রি পেয়েছিলেন হাতে, এইভাবেই নাকি হোমিওপ্যাথ ডাক্তার হয়েছিলেন গুজরাটের এক বাসিন্দা। এমবিবিএস ভর্তি নꦐিয়ে চলমান নিট-ইউজি বিতর্ক। এরই মধ্যে গুজরাটের মহেসানায় ভুয়ো হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমনই জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। পাঁচ বছরের পুরনো মামলায়, এতদিনের তদন্তে জাল ডিগ্রি সমেত ধরা পড়েছেন ডাক্তার।
সবটা জানতে পেরে, পুলিশ ইতিমধ্যেই ২০১৯ সালের এই মামলায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। পুলিশ নৈনিতালের বাসিন্দা ড. প্রেমকুমার রাজপুত, 💙মোরাদাবাদের বাসিন্দা ড. শওকত খান এবং দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা অরুণ কুমার ও আনন্দ কুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে৷
পুরো বিষয়টি আসলে কী
পুলিশ ইন্সপেক্টর জেজি ভাঘেলা বলেছেন যে হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএইচএমএস) ডিগ্রিধারী সুরেশ প্যাটেল, ইন্টারনেটে মেডিকেল লাইনে উচ্চ শিক্ষার বিষয়ে সার্চ করে, অল ইন্ডিয়া অল্টারনেটিভ মেডিকেল কাউন্সিল নামে একটি ফোরাম সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। এই ফোরামটি এমবিবিএস ডিগ্রি দেওয়ার দাবি করেছিল। এরপর, ওয়েꦛবসাইটে পাওয়া তথ্য নিয়ে তিনি ফোনে ডাঃ প্রেম কুমার রাজপুত নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। রাজপুত প্যাটেলকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি দ্বাদশ পাস নম্বরের ভিত্তিতে এমবিবিএস ডিগ্রি পাবেন।
প্যাটেল আরও বলেছেন যে এই ডিগ্রির বিষয় নিয়ে প্ৰথমে আমার সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তি আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে সবকিছু আইনীভাবেই হবে। রাজপুত প্যাটেলের বিশ্বাস জেতার জন্য আরও বলেছিলেন যে তাঁকে এই ডিগ্র🌠ি পেতে ইন্টার্নশিপ করতে হবে এবং পরীক্ষাও দিতে হবে। এ൩রপর পাঁচ বছরের মধ্যে ডিগ্রি এসে যাবে হাতে। প্যাটেল এরপর এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্ৰথমে ফি বাবদ ৫০,০০০ টাকা প্রদান করেছিলেন। তারপরে তিনি ঝাঁসির বুন্দেলখন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির চিঠিও পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: (UGC নেট-এর প্রশ্নপত্র ফাঁসক꧂াণ্ডে বিহারের গ্রামে CBI ঢুকতেই হে🥃নস্থার শিকার! ভাঙচুর গাড়ি, গ্রেফতার ৪)
ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই ডিগ্রি পেয়ে গিয়েছিলেন
প্যাটেলের দাবি, রাজপুত আমার সঙ্গে প্রায় ২৫ বার কথা বলেছে। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে আরও তিনজন - ড. সউকেত খান, ড. আনন্দ কুমার এবং অরুণ কুমার - আমাকে এমবিবিএস কোর্স সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করবেন৷ তাঁর নির্দেশে, আমি ২০১৮ সালের ১০ জুলাই, থেকে ২০১৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে ১৬.৩২ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম এবং আমার ক্লাস শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু ডিগ্রি এসেছিল ক্লাস শুরু করার আগেই। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে, আমি কুরিয়ার দ্বারা একটি প্যাকেট পেয়েছিলাম, যেখানে এমবিবিএস মার্কশিট, একটি ডিগ্রি সার্টফিকেট, ইন্টার্নশিপ ট্রেনিং সার্টফিকেট এবং আমার নামে মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া দ্বারা 𝕴স্ট্যাম্প করা একটি রেজিস্ট্রেশন সার্টফিকেটও ছিল।
বিষয়টি অদ্ভুত লাগায়, এমসিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। এরপরই জানতে পেরেছিলেন যে এই ডিগ্রি জাল। তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর যদিও তিনি পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, যার তদন্তের দায়িত্ব পরে ২০১৯ সালেই আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। প্যাটেল জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে, আমি মেহসানা পুলিশ দলের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছিলাম, যেখানে ডাঃ আনন্দ কুমার থাকতেন এবং সংস্থাটি চালাতেন বলে অভিযোগ ছিল। কিন্তু কেউ তাঁদের ঠিকানায় ছিলেন না। পরে আমরা দিল্লিতে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ সহ জানতে পেরেছিলাম যে অভিযুক্ত আরও অনেক ব্যক্তিকে একইভাবে প্রতারণার জালে জড়িয়েছিলেন। এরপর তদন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তদেরও খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্যাটেল হাল ছাড়েননি। আরও প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন তিনি। এবং ২০২৪ ♎সালের গত ১৪ জুন, প্রতারণার প্রায় পাঁচ বছর পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও একটি এফআইআর দায়ের করেছেন।