🐎 পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রাক্তন চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি, বিতর্কিত কথা বলার জন্য পরিচিত, তিনি ফের এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি) আক্রমণ করেছেন ভারত-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচটি কলম্বো থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত না করার সিদ্ধান্তের জন্য। হাম্বানটোটায় প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও সেখানে ম্যাচটি স্থানান্তর না করার জন্য তিনি সরব হয়েছেন।
൲আসলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, সুপার ফোরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আসলে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলম্বোতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ছ'টি ম্যাচের মধ্যে আবার পাঁচটি কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হবে।
🅺প্রতিটি ম্যাচেই বৃষ্টি বাধা হতে পারে। যার ফলে ম্যাচে বিলম্ব, ব্যাঘাত-দুই-ই হতে পারে, এমন কী বাতিলও হতে পারে। তাই হাম্বানটোটার মতো অনুকূল আবহাওয়ায় ম্যাচটিকে স্থানান্তরিত করলে হয়তো সব ম্যাচগুলোই নির্বিঘ্নে শেষ করা যেতে পারত। এই আবহাওয়া নিয়েই নাজাম শেঠি সরব হয়েছেন। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের মতো হাই-প্রোফাইল ম্যাচগুলি আয়োজন করার সময়ে আবহাওয়া, পরিস্থিতি এবং অন্যান্য লজিস্টিক কারণগুলি বিবেচনা করার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
꧃সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) নাজাম শেঠি লিখেছেন, ‘বিসিসিআই/এসিসি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) জানিয়েছিল যে, তারা বৃষ্টির পূর্বাভাসের কারণে পরবর্তী ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ কলম্বো থেকে হাম্বানটোটায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এক ঘণ্টার মধ্যে তারা তাদের মত পরিবর্তন করে কলম্বোকে ভেন্যু ঘোষণা করেছে। কী হচ্ছে? ভারত কি খেলতে এবং পাকিস্তানের কাছে হারতে ভয় পাচ্ছে? বৃষ্টির পূর্বাভাস নিজেই দেখুন।’
✤পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার বহুল প্রত্যাশিত এশিয়া কাপের গ্রুপ লিগের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি অবিরাম বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছিল। নাজাম শেঠি, ক্রিকেট প্রশাসনের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, দুই শহরের মধ্যে আবহাওয়ার অবস্থার সম্পূর্ণ বৈপরীত্য তুলে ধরে চাক্ষুষ প্রমাণ ভাগ করে তার উদ্বেগের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, কলম্বোতে রবিবার বৃষ্টিপাতের ৮৯% সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে হাম্বানটোটা বৃষ্টিপাতের উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। বৃষ্টির ১২% সম্ভাবনা নিয়ে রয়েছে সেখানে।
꧟তবে নাজাম শেঠির এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন বিসিসিআই সচিব এবং এসিসির সভাপতি জয় শাহ। এবং মঙ্গলবার মিডিয়াকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন যে, ‘এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সব সদস্য, সম্প্রচারকারী চ্যানেল ও স্পনসরেরা চাইছিলেন না পুরো প্রতিযোগিতা পাকিস্তানে হোক। তার একটা কারণ নিরাপত্তা। আর একটা কারণ পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে আমি সব থেকে ভাল উপায় বার করার চেষ্টা করেছি।’