প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস সাংসদ মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে লাগাতার প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞেসাবাদ চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। অভিযোগ, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বে থাকার সময় অর্থ তছরুপ করেছেন। যদিও এই প্রথম নয়, বরাবর একটি বিতর্কিত চরিত্রের নাম আজহারউদ্দিন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। আজহারের দাবি, তাঁকে কালিমালিপ্ত করার জন্য চক্রান্ত চালাচ্ছে বি♔রোধীরা। প্রথমে এই প্রাক্তন ক্রিকেটারকে ৩ অক্টোবর হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠায় ED। কিন্তু তিনি সেদিন উপস্থিত হতে পারবেন না বলে জানান এবং অন্য তারিখ দেওয়ার অনুরোধ করেন। সেই মতো কেন্দ্রীয় তন্দন্তকারী সংস্থা তাঁকে ৮ তারিখ হাজিরা দেওয়ার জন্য নতুন নোটিশ পাঠায়।
সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার ED-র সামনে উপস্থℱিত হন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। সকাল ১১টা নাগাদ হায়দরাবাদে ফতেহ ময়দান রোডের ED অফিসে প্রবেশ করেন তিনি। এরপর রাত ৯টা নাগাদ বেরিয়ে যেতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন, মিথ্যে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর বাইরে আমার আর কিছু বলার নেই। আমি বিস্তারিত ভাবে এখন কিছু বলতে চাই না’।
তাঁর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ ?
হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের জন্য মোট ২০ কোটি টাকার বিভিন্ন সামগ্রী কেনা হয়েছিল ৷ অভিযোগ, সেখানে বেশকিছু আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়েছে ৷ যেহেতু আজহারউদ্দিন সেই সময় HCA-র সভাপতি ছিলেন, তাই পুরো বিষয়ে তাঁর কী ভূমিক⭕া ছি🦄ল সেটা জানার জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ তেলাঙ্গানা অ্যান্টি করাপশন ব্যুরোর দায়ের করা ৩টি FIR-র ভিত্তিতে গত বছরের নভেম্বর মাসে ED তেলাঙ্গানার ৯ জায়গায় অভিযান চালায়।
চার্জশিটে অভিযোগ হিসাবে উল্লেখ করা হয়, ডেডলাইন থাকা সত্ত্বেও স্টেডিয়ামের বিভিন্ন কাজ সম্পূর্ণ করতে অত্যাধিক দেরি করা হয়েছে। এর ফলে প্রচুর বাড়তি খরচ হয়েছে। এমনকি পরিচিত কন্ট্রাক্টারদের বাজার মূল্যের থেকে বেশি দামে বিভিন্ন কন্ট্রাক্ট পাইয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সচিব,🦂 সভাপতিদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সেই সব স🌸চিব এবং ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। ঠিক একই কারণে ডেকে পাঠানো হয় মহম্মদ আজহারউদ্দিনকেও।