সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে অবশেষে বরফ গলেছে। ঘরে ফিরতে রাজি হয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। এমন কী তিনি বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলার ইচ্ছে প্রকাশও করেছেন। মাঝে অভিমান করে দু'বছর বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবার সৌরভ অনুরোধ করায়, তা ফেলতে পারেননি ঋদ্ধি। কয়েক দিন আগেই সৌরভের অ🤪ফিসে গিয়ে মান অভিমানের পালা চুকিয়ে দেন শিলিগুড়ির পাপালি।
অথচ দু'বছর আগে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে তৎকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন ঋদ্ধিমান। বলেছিলেন, মহারাজের আশ্বাস থাকা সত্ত্বেও, জাতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয় তাঁকে। এর পর বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে অভিমান ভুল বাংলায় ফিরতে 𓆉রাজি হয়েছেন ঋদ্ধি। ফের বাংলায় ফেরার পিছনে সৌরভ এবং নিজের স্ত্রী রোমিকেই যাবতীয় কৃতিত্ব দিয়েছেন ঋদ্ধিমান। বলেছেন, ‘বাংলায় ফিরে সৌরভের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমার বাংলায় ফেরার পিছনে আমার স্ত্রী এবং সৌরভের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।’
আরও পড়ুন: রিজওয়ানের মন্থর অর্ধশতরান, তবে কানাডাඣকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সুপার আটের আশা বাঁচিয়ে র♏াখল পাকিস্তান
বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ দিয়েই প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। এই টুর্নামেন্টে তিনি রেশমি মেদিনীপুর উইজার্ডসের মার্কি প্লেয়ার হিসেবে খেলবেন। প্রথমে এই দলের মার্কি প্লেয়ার ছিলেন অভিমন্যু ঈশꦿ্বরণ। তবে তিনি চোট পাওয়ায় তাঁর জায়গায় মার্কি প্লেয়া꧙রের স্থান নিয়েছেন ঋদ্ধি।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিল রেশমি মেদিনীপুর উইজার্ডস। সেখানে ঋদ্ধি বলে দেন, ‘বাংলায় খেলে ক্রিকেট জীবন শুরু করেছিলাম। চাকরির ক্ষেত্রে অনেক আত্মত্যাগও করেছি। আবার বাংলার হয়ে💖 খেলার সুযোগ পেলে ভালো করার চেষ্টা করব।’ এর সঙ্গেই ঋদ্ধি যোগ করেন, ‘তবে এখন আমার ফোকাস বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ। এই টুর্নামেন্টে দলকে নকআউটে নিয়ে যাওয়াটাই আপাতত আসল লক্ষ্য। আমি যেখানেই খেলেছি, সব সময়ে আমার ১০০ শতাংশের বেশি দিয়েছি।’
মনোজ তিওয়ারির অবসরের পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেনি বাংলা। ঋদ্ধি যদি সুযোগ পান, তবে কি এই চ্যালেঞ্জ নেবেন তিনি? ঋদ্ধিমান অবশ্য বলে দেন, ‘আমি অতীত এবং ভবিষ্যত নিয়ে ভাবি না। শুধু বর্তমান নিয়ে চিন্তা করি। তাই এইসব নিয়ে ভাবছিই না।’ ঘটনাচক্রে মেদিনীপুরের দলের মেন্টর ♏লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তিনি আবার বাংলার রঞ্জি দলের কোচও। লক্ষ্মীর কাছে কি কোনও বার্তা দিয়েছেন ঋদ্ধি? সেই বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি।
ইডেনে অনুশীলন শুরু করেছেন। কিন্তু কোনও কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর। গিয়েছিলেন নিজের পুরনো সাজঘরে। সেখানে অনেক বদল হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঋদ্ধি। তিনি বলেন, ‘সিএবিতে আগে যা দেখে গিয়েছিলাম, তার থেকে এখন অনেক বদল হয়েছে। সাজঘরের চেয়ার বদলে গিয়েছে। আগে যা দেখে গিয়েছিলাম, সেটা এখন আর নেই। এর মধ্যে ইডেনে আমি আইপিএল খ🧸েলেছি। কিন্তু আইপিএলে খেলা আর ক্লাব ⛎ক্রিকেট খেলা সম্পূর্ণ আলাদা। এখনও কোনও কর্তার সঙ্গে দেখা হয়নি।’
আরও পড়ুন: পাকের বিরুদ্ধে চারে বܫ্যাটিং, কী ভাবে চাপ কাটালেন 'ক্যাপ্টেন' পন্তের সাহায্যে, ফাঁস করলেন অক্ষর
তারকা উইকেটকিপার ব্যাটারের দাবি, রাজ্য ছেড়ে গেলেও মাঝের দু'বছর বাংলা তাঁর মন থেকে মুছে যায়নি। অনেক সতীর্থের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। পাশাপাশি বাংলার ম্যাচের দিন স্কোরের খবরাখবরও রাখতেন। তাঁর দাবি, ‘আমি মাঝের দু'বছর না থাকলেও সব সময়ে চেয়েছি বাংলা ভালো খেলুক। আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা সব এখানেই। আমি আর সুদীপ বাংলার ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করতাম। স্কোরের খবর রাখতাম। বাংলার অনেকের সঙ্গেই যোগ𓆉াযোগ ছিল। বাংলা-ত্রিপুরা ম্যাচের সময় সবার সঙ্গে দেখা হত। শুধু সাজঘর বদলে গিয়েছিল। বাংলা গত কয়েক বছর খুব ভালো খেলছে। আশা করছি, আগামীতেও আমরা এই সাফল্য ধরে রাখতে পারব।’