আসন্ন রঞ্জি মরশুমের আগে দুর্দান্তভাবে প্রস্তুতি সেরে রাখল হায়দরাবাদ। তিলক বর্মাকে ছাড়াই তারা জিতে নিল বুচি বাবু আমন্ত্রণী টুর্নামেন্টের খেতাব। দলীপের মঞ্চে ডাক পাওয়ায় তিলক ফাইনা♎লে মাঠে নামতে পারেননি হায়দরাবাদের হয়ে। তা সত্ত্বেও খেতাবি লড়াইয়ে হায়দরাবাদ বড় ব্যবধানে হা꧃রিয়ে দেয় ছত্তিশগড়কে। দলের জয়ে ব্যাটে-বলে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন রোহিত রায়াড়ু।
এনপিআর কলেজ ক্রিকে🌌ট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে হায়দরাবাদ। তღারা প্রথম ইনিংসে ৪১৭ রান তুলে অল-আউট হয়। প্রথম ইনিংসে সাকুল্যে ১১৮.৪ ওভার ব্যাট করে হায়দরাবাদ। দাপুটে শতরান করেন রোহিত। তিনি ২৬০ বলে ১৫৫ রান করে আউট হন। মারেন ৮টি চার ও ৮টি ছক্কা।
নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন অভিরথ। তিনি ১২৬ বলে ৮৫ রান 📖করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ১০টি চার ও ১টি ছক্কা। হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন রাহুল রাদেশ। তিনি ১০৩ বলে ৪৮ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। মারেন ৭টি চার।
এছাড়া তন্ময় আগরওয়াল ৩ꦿ২ ও অনিকেত রেড্ডি ২৯ রানের যোগদান রাখেন। ছত্তিশগড🀅়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ২টি করে উইকেট নেন জীবেশ, বাসুদেব, গগনদীপ সিং ও শশাঙ্ক তিওয়ারি। ১টি করে উইকেট নেন সাহবান খান ও মহম্মদ ইরফান।
পালটা ব্🌠যাট করতে নেমে ছত্তিশগড় তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৮১ রানে। তারা ৭০.২ ওভার ব্যাট করে। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৫৯ রান করে অপর🌼াজিত থাকেন গগনদীপ সিং। ১০২ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া আয়ুষ পান্ডে ৩৬ ও সাহবান খান ২০ রানের যোগদান রাখেন। হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন অনিকেত রেড্ডি। ৩টি🥂 করে উইকেট নেন রোহিত রায়াড়ু ও তনয় ত্যাগরাজন। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২৩৬ রানের বিশাল লিড পেয়ে যায় হায়দরাবাদ। যদিও তারা ছত্তিশগড়কে ফলো-অন করানোর রাস্তায় হাঁটেনি। বদলে নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সিদ্ধান্ত নেয়।
হায়দরাবা൲দ দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ২৮১ রান। তারা ৭০.২ ওভার ব্যাট করে। অভিরথ ৩৯, রাহুল সিং ৬৮, রোহিত রায়াꦚড়ু ২৭, হেমা তেজা ২৭, রাহুল রাদেশ ৪১ ও অনিকেত রেড্ডি ২২ রান করেন। ছত্তিশগড়ের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬টি উইকেট নেন জীবেশ। ২টি উইকেট নেন শশাঙ্ক তিওয়ারি।
প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য ছত্তিশগড়ের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫১৮ রানের। ছত্তিশগড় শেষ ইনিংসে অল-আউট হয়♓ ২৭৪ রানে। ২৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে হায়দরাবাদ এবং ট্রফি হাতে তোলে।
শেষ ইনিংসে ছত্তিশগড়ের হয়ে ১১৭ রান করেন আয়ুষ। ৫০ রান করেন শশাঙ্ক চন্দ্রকর। হায়দরাবাদের তনয় ত্যাগরাজন শেষ ইনিংসে ৫টি উইকেট দখল করেন। ꦬ২টি উইকেট নেন অনিকেত।