পাকিস্তানের কাছে ঘরের মাঠে ওডিআই সিরিজ হার অস্ট্রেলিয়ার। এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তৃতীয় তথা শেষ ওডিআই ম্যাচের আগে কেন সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিষয়টি সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাদের। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার CEO নিক হকলি। তিনি নির্বাচকদের সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গিয়েও ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। তৃতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটে জয়লাভ করে পাকিস্তান। ২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জেতে রিজওয়ানরা। দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে হারের পরও তারকা অজি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স, জোশ হেজেলউড, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্কের মতো খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেট অস্ꦯট্রেলিয়া।
২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। এই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের আগে যাতে কোনও ক্রিকেটার চোট আঘাত না পায় সেটা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। আগের তথ্য ঘাটলে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলাররা খুব বেশি পরিমাণ চোট-আঘাত সমস্যায় ভুগেছে। উদাহরণ, সাম্প্রতিক কালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ৬ জন পেসার চোটের কবলে পড়েছিল। হকলি স্পষ্ট করেছেন, প্লেয়ারদের কথা মাথায় রেখেই বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার MCG-তে তিনি বলেন, ‘তিন ফরম্যাটে দল নির্বাচনের জন্য যে পরিমাণ পরিকল্পনা এবং কাজ করা হয় তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা আমাদের টেস্ট দলের খেলোয়াড়দের আগামী ৭টি টেস্টে দলে পেতে চাই। যেগুলো একপ্রকার পরপর রয়েছে। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও রয়েছে, সেখানেও তাদের দেখতে চাই। পুরো বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে আ♍মরা তৃতীয় ওডিআইয়ের জন্য তাদের বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
পরের বছর অ্যাশেজের আগে অস্ট্রেলিয়া ভারতের বিপক্ষে সাদা বলের ক্রিকেট সিরিজে 🍌মুখোমুখি হবে। সেই সিরিজের সময় সমস্ত নজর থাকবে CA-এর পদ্ধতির উপর। হকলির মতে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ভারতের সঙ্গে সাদা বলের ক্রিকেট সিরিজের সময়সূচী চূড়ান্ত করার সময় গত সপ্তাহের হার থেকে যেই শিক্ষা নিয়েছে তা মনে রাখবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিষয়টার উপর নজর দিতে হবে। বড় সিরিজের আগে এত ঘনঘন ভ্রমণ করার বিষয়টা সমালোচলিত হয়েছে। এটি পরের বার থেকে চিন্তাভাবনা করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য খেলোয়াড়দের সবচেয়ে ভালো পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া। পরের বার সূচি তৈরি করার সময় আমাদের ভ্রমণের বিষয়টা মনে রাখতে হবে। আমরা প্রত্যেকটা ছোট ছোট বিষয়ের উপর নজর দেব যাত𝄹ে আমরা প্রতি ম্যাচে আমাদের সেরা একাদশ নামাতে পারি।’