২০ ওভারের ক্রিকেটে ঘাড়ের উপর ২৭২ রানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বল থেকে ব্যাট চালানো ছাড়া উপায় নেই। যদিও ভাইজ্যাগে কেকেআরের ঝুলিয়ে দেওয়া বিরাট রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়াꦗ করতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালসের শুরুটা মনে রাখার মতো হয়নি মোটেও।
দিল্লি ম্যাচের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে༒ উইকেট খোয়াতে থাকে। ঋষভ পন্ত ও ত্রিস্তান স্টাবস ছাড়া ব্যাট হাতে নির্মমতা দেখাতে পারেননি আর কেউ। নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকায় ক্যাপিটালসের পক্ষে বড় রানের পার্টনারশিপ গড়া সম্ভব হয়নি। পাওয়ার প্লে মনে রাখার মতো না হলেও পন্ত ব্যাট হাতে ক্রিজে আসার পরে রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করে দিল্লি।
শেষমেশ ক্যাপিটালস ১৭.২ ওভারে ১৬৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। একসময় হার নিশ্চিত বুঝে যাওয়া সত্ত্বেও দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটারর🐲া বড় শট নেওয়ার চেষ্টা থেকে বিরত করেননি নিজেদের। পন্ত নিজেও পরপর বড় শট খেলার চেষ্টায় নিজের উইকেট দিয়ে আসেন। হার নিশ্চিত বুঝে যাওয়ার পরে দিল্লির সামনে সুযোগ ছিল ধীরে সুস্থে ২০ ওভার ব্যাট করার। তবে সেই পথে হাঁটেননি পন্তরা।
ম্যাচের শেষে এই প্রসঙ্গে দিল্লি দলনায়ক জানান যে, হাল ছেড়ে দেওয়ার থেকে টার্গেটে পৌঁছনোর চেষ্টায় অল-আউট হওয়া অনেক ভালো বলে মনে করেন তিনি। পন্তের কথায়, ‘আমাদের বোলারদের জন্য দিনটা মোটেও ভালো ছিল না। আমাদের আরও একটু ভালো খেলা উচিত ছিল। তবে ব্য়াটিং ইউনিট হিসেবে আমরা টার্গেটে পৌঁছতে নির্মম হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেভাবেই নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করেছি। হাল ছেড়ে দেওয়ার থেকে লক্ষ্যে পৌঁছনোর চেষ্♏টায় অল-আউট হওয়া আমার কাছে অনেক ভালো।’
উল্লেখ্য, বুধবার ভাইজ্যাগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হোম ম্যাচে কার্যত একতরফাভাবে হার মান🌳তে হয় দিল্লি ক্যাপিটালসকে। তবে দিল্লি দলনায়ক ঋষভ পন্ত ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করে কিছুটা হলেও পালটা লড়াই ফিরিয়ে দেন নাইট রাইডার্স শিবিরে। পন্🍨ত ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ৫৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
ম্যাচে দ🍃িল্লিকে ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করে কেকেআর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৭২ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ১৭.২ ওভারে ১৬৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়।