মাত্র ৩১ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। তাঁর অবসরে চমকে গিয়েছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্বই। পাঁচটি বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার গত বছর অবসরের সিদ্ধান্ত জানানোর পর, এটা হজম করতে পারেননি অনেকেই। ক্রিকেট জীবনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকার সময় খুব কম খেলোয়াড়ই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে কেন তিনি ♑সরে দাঁড়িয়েছিলেন, তা নিয়ে তীব্র জল্পনা ছিল। অবশেষে নিজের অবসর নেওয়ার কা🃏রণ জানালেন মেগ।
মেগ ল্যানিং এতদিনে নিজের সেই সময়ের মানসিক অবস্থার কথা জানিয়েছেন। অথচ একটা সময় ক্রিকেটই ছিল তাঁর জীবনের সব কিছু। কিন্তু কঠোর অনুশীলন আর অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য ধীরে ধীরে তিনি নানা সমস্যার মুখে পড়তে থাকেন। শারীরিক সমস্যার সঙ𝐆্গে মানসিক অবসাদও তীব্র ভাবে ঘিরে ধরেছিল। অবসাদের জেরে রাতে ঘুম হত না তাঁর। আর এসব কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দꦺাঁড়ানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন মেগ ল্যানিং।
খিদে পেত না, ওজন কমে গিয়েছিল
হাউই গেম পডকাস্টে এক সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়🎀ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘প্রচুর অনুশীলন করতাম আমি। তবে খাওয়া-দাওয়া ঠিক করে করা হত না। আমার খিদেই পেত না। একটা সময়ে ছিল যখন সপ্তাহে ৮৫-৯০ কিলোমিটার দৌড়নোর পরেও, আমি মাত্র দু'বার খাবার খেতাম। যার ফলে আমার ওজন কমে যায়। আমার ওজন ৬৪ কেজি থেকে ৫৭ কেজি হয়ে যায়। শরীরের মধ্যে অবসাদ চলে এসেছিল। সেটা ক্রমশ বাড়ছিল। কোনও সফরে গিয়ে ক্রিকেট খেলা এবং নিজের পুরো দায়বদ্ধতা দিয়ে খেলা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। গত বছর অ্যাশেজের আগে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলাম।’
মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মেগ
মেগ ল্যানিং দাবি করেছেন, এতে তাঁর আচরণেও অনেক বদল এসে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই💎 রেগে যাচ্ছিলেন। অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে,ꦺ বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন তিনি। ল্যানিং বলেছেন, ‘নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে চাইছিলাম। খুব কম লোকই রয়েছে, যাদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে। কেমন লাগছে, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতাম না কাউকে। কারও সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছা করত না।’
আরও পড়ুন: CSK ম্যাচের আগেই নেটে আগুনে মেজাজে মায়াঙ্ক, স্বস্তির নিঃশ্ব🅘াস ফেলছে LSG- ভিডিয়🎃ো
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল আমার ভবিষ্যৎ আমার নিয🎀়ন্ত্রণে নেই। আমি ভাবতাম ক্রিকেট না হলে আমার জীবন কী ভাবে এগোবে! গত বছরের বিশ্বকাপ, মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগ (ডব্লিউপিএল) সম্ভবত এমন সময় ছিল, তখন আমি যা করছিলাম, সেটা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। আমি এখনও স্বাভাবিক ভাবে বসতে পারি না, তবে এটি এখন মাঝে মাঝে ঘটছে।’
রাতে ঘুম হত না
রাতে ঠিক করে ঘুম হত না বলেও জানিয়েছেন ল্যানিং। বলেছেন, ‘অনেক সময় ইয়ারফোন লাগিয়ে দৌড়তে যে♏তাম, ফোনও রাখতাম না। মানুষ আমার সাথে যোগাযোগও করতে পারেনি। ধীরে ধীরে এটা আমার অভ্যেস হয়ে গেল। এক সময় আমি এতটাই আবসাদে ডুবে গিয়েছিলাম যে, রাতে দু'ঘণ্টাও ঘুমোতে পারতাম না। রাতে ঘুমাতে না পারলে রাগ হত, পাগলের মতো লাগত। কিন্তু এসব কিছুই আমার খেলায় প্রভাব ফেলছিল না।’