জয় শাহ ভারতীয় ক্রিকেটে একজন গুরুত্বপূর্ণ এবং তরুণ কর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে𒈔ন। নিজের প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বের ক্ষমতা দিয়ে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের একটি বিশেষ পরিচিতি তৈরি করেছেন। ৩৫ বছর বয়সি জয় শাহ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (💦আইসিসি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং এই পদে অধিষ্ঠিত সবচেয়ে কম বয়সি ব্যক্তি তিনি।
ক্রিকেটে জয় শাহের যাত্রা-
ক্রিকেট পরিচালনায় জয় শাহের যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে, যখন তিনি জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ক্রিকেট বোর্ড আহমেদাবাদ (সিবিসিএ) এর সঙ্গে কাজ শুরু করেন। এরপর তিনি গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (GCA) যোগ দেন এবং ২০১৩ সালে এর যুগ্ম সম্পাদক হন। জয় শাহ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সময় তার দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন। খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক এবং তার পরিচালনার দক্ষতা তাঁকে এই অবস্থানেဣ নিয়ে গিয়েছিল।
জয় শাহ অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছিলেন
জয় শাহের নেতৃত্বে বিসিসিআই অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তিনি মহিলাদের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য মহিলা প্রিমিয়ার লিগ (ডব্লিউপিএল) শুরু ক🍒রেছিলেন, যা অত্যন্ত সফল ছিল। এই লিগ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ পরিমাণ চুক্তির প্রস্তাব দেয়, যা মহিলাদের ক্রিকেটকে একটি বড় উৎসাহ দিয়েছে। উপরন্তু, শাহ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য অভিন্ন ম্যাচ ফি প্রয়োগ করে খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন। এমনকি COVID-19 অতিমারী চলাকালীন, যখন বিশ্বজুড়ে ক্রীড়া কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, শাহ তার চেষ্টার সাথে আইপিএল এবং অন্যান্য টুর্নামেন্টের সফল পরিচালনা নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বায়ো-বুদবুদ তৈরি করে🍬ন এবং এর মধ্যে চিকিৎসা সুবিধাগুলি পরিচালনা করেছিলেন, যাতে টুর্নামেন্টটি নিরাপদে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন… টেস্ট ক্রিকেটকেই অগ্রাধিকার, ICC-র নয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার প🃏রেই জয় শাহের বড় ঘোষণা
ভারতীয় ক্রিকেটকে দেওয়া হল নতুন এনসিএ
জয় শাহ খেলোয়াড়দের ঘরোয়া ক্রিকেটকে অগ🦋্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করেন এবং টেস্ট ক্রিকেটের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেন। তার শাসনামলে, ভারত ১০-টেস্ট মরশুম খেলেছিল, যেখানে খেলোয়াড়দের আরও প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল। জয় শাহের আরেকটি বড় অর্জন হল জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ) এর নতুন সৃষ্টি। অ্যাকাডেমিটি শ্রেষ্ঠত্বের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে, ঘরোয়া মরশুমে একটি একক ভেন্যুতে একাধিক প্রথম-শ্রেণির ম্যাচ আয়োজন করবে। ভারতীয় ক্রিকেটে জয় শাহের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তার নেতৃত্বের ক্ষমতা, খেলোয়াড়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার এসব সাফল্য তাকে একজন কার্যকর ও সফল প্রশাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আরও পড়ুন… দিল্লি ক্যাপিট♑ালসের হেড কোচ হচ্ছেন না স🌃ৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন সতীর্থকে দিতে চান গুরু দায়িত্ব