৩৬ বছর পর ভারতের মাটিতে ভারতকে টেস্টে হারাল নিউজিল্যান্ড। এর আগে ১৯৮৮ সালে এখানে শেষ টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল💧 কিউয়িরা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশের পর নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় কৃতিত্ব নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের কাছে। প্রথম টেস্টে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। সেটাই বুমেরাং হয়। মাত্র ৪৬ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় রোহিতরা। তবে টসে জিতলে তিনিও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম লাথাম। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় টসে জিতলে আমরাও প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতাম। ভালো হয়েছে টস হেরেছি’। প্রথম ইনিংসে ভারতকে ৪৬ রানে অলআউট করার কৃতিত্ব নিজের বোলারদের দিয়েছেন টম। তিনি বলেন, ‘আমরা সঠিক জায়গায় বল করেছিলাম, তার ফলও পেয়েছি। আমরা জানতাম তৃতীয় ইনিংসে ভারত প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করবে। কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বল হাতে আমাদের বোলাররা পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেয় ভারতের ব্ไযাটসম্যানদের দিকে’।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে শতরান করেন রাচিন রবীন্দ্র (১৩৪)। টিম সাউদির সঙ্গে মিলে শেষের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। ম্যাচ জিতে সেই বিষয়ে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক বলেন, ‘ম্যাচ যখন পঞ্চাশ-পঞ্চাশ ছিল, তখন রাচিন এবং টিমের পার্টনারশিপ দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা সকলেই সাউদির ব্যাটিং দক্ষতা সম্পর্কে জানি। রাচিন নতুন এসেছে। কিন্তু যেইভাবে নিজের নার্ভকে নিয়ন্ত্রণে রেখে শেষদিনে খেলেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে’। কিউয়ি অধিনায়ক পেসার উইলিয়ামের বোলিংয়ের প্রশংসা করে বলেন, ‘ও আন্তর্জাতিক স্তরের একজন খুবই ভালো ক্রিকেটার। তার বলে গতি রয়েছে, সে বলকে খুবই ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একই সঙ্গে বলকে হওয়াতে সুইং করানোর দক্ষতা রয়েছে তার। সে বোলিংয়ে টিম সাউদি এবং ম্যাট হেনরিকে যথাযথভাবে সাহায্য করেছে’।
প্রসঙ্গত, ভারত এবং নিউজিল্যান্ড নিজেদের মধ্যে ৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। ১৬ অক্টোবর থেকে প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয় ম্যাচ। প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় রোহিতরা। জবাবে ৪ܫ০২ রান করে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করে ভারত। তবে দ্বিতীয় নতুন বল হাতে পেতেই খেলা ঘুরিয়ে দেয় নিউজিল্যান্ডের পেসাররা। ৪৬২ রানে অলডাউন হয়ে যায় ভারত, জয়ের জন্য কিউয়িদের প্রয়োজন ছিল ১০৭ রান। পঞ্চম দিনের শুরুতে ২ উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে নেয় তারা।