পিছিয়ে গেল আনোয়ার আলির মামলার শুনানি। এর ফলে শনিবারের বড় ম্যাচ খেলতে বাধা রইল না ইস্টবেঙꦆ্গল ডিফেন্ডার আনোয়ার আলির। স্থগিত রাখা হল সোমবারের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির শুনানি। অক্টোবরের ২২ অথবা ২৩ তারিখ হতে পারে আনোয়ার আলির মামলার শুনানি। ফলে শনিবারের ডার্বি খেলতে মাঠে নামতে পারবেন মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকা।
আরও পড়ুন… ICC Womens T20 WC 2024: পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতের স্বপ্নে জল ঢেলে শেষ চারে নিউজিল🎃্যান্ড
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এটাই মরশুমের প্রথম ডার্বি। মোহনবাগান থেকে ইস্টবেঙ্গলে আসা আনোয়ার আলিকে নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এদিকে আনোয়ার এখনও লাল হলুদ জার্সিতে প্রত্যেকের আশা পূরণ করতে পারেননি। আনোয়ার আলির কাছেও তাই এই ডার্বিটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। লাল-হলুদ ডিফেন্সকে তিনি যদি নেতৃত্ব দিতে পারেন, চাপ অনেকটাই কমে যাবে ইস্টবেঙ্গলের। আনোয়ার ভালো খেললে ডার্বির মতো উত্✱তেজক ম্যাচে অনেক খোলা মনে খেলতে পারবে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ। আনোয়ার চান ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম ডার্বিতে যেন জয়ের স্বাদ দিতে। লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে হাসি ফ༺োটাতে চান আনোয়ার। টানা চার ম্যাচ হেরে এমনিতেই ব্যাকফুটে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এখন দেখার আলোয়ার কী করেন?
আরও পড়ুন… প্রবল সমালোচনার মুখে ঘরোয়া টি-꧒২০ লিগ থেকে Impact player নিয়ম সরালো BCCI
এদিকে মোহনবাগান চায় যাতে সে এই ম্যাচে না খেলতে পারে। তবে যদি সে খেলে তাহলে যেন নিজের আগের ফর্মে না থাকেন। মোহনবাগানের চুক্তি বাতিল করে ইস্টবেঙ্গলে সই করায় আনোয়ার আলিকে। সেই কারণে তাঁকে আগেই শাস্তি দিয়েছিল ফেডারেশন। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব, আনোয়ার আলি আর আনোয়ারের প্রাক্তন ক্লাব দিল্লি এফসি। এরপরই ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে বিষয়টি শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয় দিল্লি🐈 আদালত। ২৭ সেপ্টেম্বরের পিঠের অস্ত্রোপচারের জন্য সময় চেয়ে নেন আনোয়ার আলির উকিল। ৩০ সেপ্টেম্বরের শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয় ১৪ অক্টোবর। সোমবারের শুনানি ফের পিছিয়ে গেল। সামনের সপ্তাহে হবে ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির শুনানি।
আরও পড়ুন… ওদের ব༺াদ দেওয়া হয়নি: বাবর-শাহিন-নাসিমকে নিয়ে পাকিস্তান দলের সহকারী কোচের সাফাই
শুনানি হঠাৎ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ কী? যদিও বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, আনোয়ার আলির আইনজীবির অনুপস্থিতির কারণেই আরও একবার শুনানি পিছিয়ে গেল। তবে নির্দিষ্ট ভাবে কারণ জানা না গেলেও ফুটবলমহল মনে করছে দুই প্রধানকে স্বস্তি দিতেই নাকি ফেডারেশন এমনটা করছে। ব্যবসায়িক দিক থেকে এই ডার্বিকে সফল করার একটা চাপ হয়তো এআইএফএফ-এর উপর থাকতে পারে। এই ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা যেমন থাকে সমর্থকদের মধ্যে, গ্যালারিতেও উপচে পড়ে ভির। আনোয়ার আলিকে ডার্বিতে খেলেল খুশি হবে ইস্টবেঙ্গল। তারপর পঞ্জাব তনয় আর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে শাস্তি দিয়ে মোহনবাগানকে খুশি করার চেষ্টায় ফেডারেশন। আইএসএলের অন্যতম সেরা ম্যাচকে আরও উত্তেজিত করার জন্যই হয়তো এমনটা⛎ করা হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞ মহল বিশ্বাস করছে।