শুভব্রত মুখার্জি:- ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহূর্তে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার কেএল রাহুল। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন আন্তর্জাতিক আঙিনায় যেন কেএল রাহুলের পুনর্জন্ম হয🐷়েছে। একটা সময়ে ভারতীয় ♒দলে ওপেনার হিসেবে ব্যাটিং করতেন তিনি।
এরপরেই মিডল অর্ডারে খেলা শুরু করেন তিনি। তিন ফর্ম্যাটেই মিডল অর্ডারে খেলার পাশাপাশি কিপিংও করছেন রাহুল। আর মিডল অর্ডারে ব্যাট করা শুরু করার পর থেকেই যেন বদলে গিয়েছেন তিনি। ওডিআই বিশ্বকাপেও বেশ সফল হয়েছেন তিনি। আর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেও এল সফলতা। সেঞ্চুরিয়নে বক্সিং ডে টেস্টে ভারতের হয়ে শতরান 🐻করলেন রাহুল। উল্লেখ্য, বক্সিং ডে টেস্টের মধ্যে দিয়েই হয়েছিল তাঁর টেস্ট অভিষেক। যেখানে সাফল্য আসেনি সেইভাবে। ৯ বছꦚর বাদে সেঞ্চুরিয়নে সেই বক্সিং ডে টেস্টেই একেবারে চিত্রটা বদলে দিলেন রাহুল।
২০১৪ সালে বক্সিং ডে টেস্টে হয়েছিল লোকেশ রাহুলের অভিষেক। সেই টেস্টে একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি তিনি। আর 🐭সেই ঘটনার নয় বছর বাদে সেই বক্সিং ডে টেস্টেই শতরান করে তিনি যেন জিরো থেকে হিরো হয়ে🏅 গিয়েছেন।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালে বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচে মেলবোর্নে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। সেই ম্যাচে একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স ছিল না লোকেশ রাহুলের। এরপর ২০১৮ সালে ওই মেলবোর্নেই বক্সিং ডে টেস্টে খারাপ ফর্মের জন্য বাদ পড়তে 𓄧হয় তাঁকে। ওই ম্যাচে অভিষেক হয় মায়াঙ্ক আগরওয়ালের। ২০২১ সালে সেঞ্চুরিয়নে ওপেনার হিসেবে বক্সিং ডে টেস্টে করেন শতরান। ওই ম্যাচে ভারত বড় ব্যবধানে জিতেছিল। আর ২০২৩ সালে বক্সিং ডে টেস্টে মিডল অর্ডারে ব্যাট করে সেঞ্চুরিয়নে ফের শতরান হাঁকালেন 🧔রাহুল।
কেএল রাহুল প্রথম দিন শেষে ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিনে তিনি নিজের শতরান পূরণ করেন। ১৩৭ বলে ১০১ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন তিনি। প্রোটিয়া﷽ বোলারদের রীতিমতো কাউন্টার অ্যাটাক করেন তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১৪টি চার এবং চারটি ছয়ে। ৭৩.৭২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন তিনি। প্রোটিয়াদের হয়ে টেস্টে অভিষেক হওয়া নান্দ্রে বার্গারের বলে বোল্ড আউট হয়ে যান তিনি। মূলত রাহুলের শতরানে ভর করেই ভারত প্রথম ইনিংসে ২৪৫ রান করতে সমর্থ হয়েছে।