ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০ পিছিয়ে পড়ার পর পাঁচ ম্যাচের সিরিজে দারুণ ভাবে প্রত্যাবর্তন করেছিল টিম ইন্ডিয়া। তারা ০-২ থেকে ২-২-ও করে ফেলেছিল। যে কারণে শেষ টি-টোয়েন্টি পরিণত হয় অলিখিত ফ♊াইনালে। আর রবিবার বৃষ্টি বিঘ্নিত পঞ্চম টি-টোয়েন্টি শেষ হাসি হাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১৭ বছর পর ভারতের বিপক্ষে যে কোন সংস্করণে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতল ক্যারিবিয়ানরা।
এর আগে ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হেরেছিল ২০০৬ সালে। সেই বার ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে রাহু൩ল দ্রাবিড়ের টিম ইন্ডিয়꧙াকে ৪-১ হারিয়েছিল ব্রায়ান লারার নেতৃত্বাধীন ক্যারিবিয়ান দল। ২০০৬-এর পর ফের একই লজ্জার ইতিহাস। এবার টি-টোয়েন্টি সিরজ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ফল উইন্ডিজের পক্ষে ৩-২। আপ এই দু'টি লজ্জার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন একজনই। তিনি হলেন রাহুল দ্রাবিড়। ২০০৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে ভারত হেরেছিল। আর ২০২৩ সালে তাঁর কোচিংয়ে ফের লজ্জাবরণ করতে হল ভারতকে।
আরও পড়ুন: ব্যাটিংয়ে গভীরতা বাড়াতে হবে- অতিরিক্ত পরীক্ষাই ডুবিয়েছে ভারতকে, স্বীকার করলেন দ্রাব🔯িড়
২০০৬ সালে পাঁচ ম্যাচের ওডিআই সিরিজে রাহুল দ্রাবিড় কার্যত তরুণ দলকেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যেমনটা এবার হার্দিক পান্ডিয়া দিয়েছেন। ১৭ বছ🐭র আগে সেই ভারতীয় দলে ছিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, সুরেশ রায়না, যুবরাজ সিং, মহেন্দ্র সিং ধোনি, হরভজন সিং, আরপি সিং, মহম্মদ কাইফ, মুনাফ প্যাটেল, অজিত অগরকার, ইরফান পাঠানরা। তখন ধোনি, যুবিরা এক🃏েবারেই তরুণ। আর তরুণ ব্রিগেড নিয়ে দ্রাবিড় শুরুটা কিন্তু খারাপ করেননি। প্রথম ওডিআই-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। দ্রাবিড় সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ভালো খেলেছিলেন কাইফও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেলের সেঞ্চুরি প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ১০.৬৭ গড়ে ৩ ইনিংসে মাত্র ৩২ রান- নেটপাড়ায় নির্লজ্জের♊ মতো ট্রোলড হলেন সঞ্জু
তবে এই ম্যাচের পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘুরে দাঁড়ায়। পরের চারটি ম্যাচেই তারা জয় ছিনিয়ে নেয়। দ্বিতীয় ম্যাচটি রোমহর্ষক জায়গায় পৌঁছেছিল। উইন্ডিজের দেওয়া ১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে ১৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ১ রানে জয় পায় লারা ব্রিগড। সেই ম্যাচটিতে যুবি একা ৯৩ রান করলেও, দলকে জেতাতে পারেননি। তৃতীয় ম্যাচে আবার ৪ উইকেটে ভারতকে হারিয়েছিলেন লারারা। বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ৯৭, মহম্মদ কাই⛄ফের ৬৭ রানের ইনিংসকে ব্যর্থ করে ম্যাচ জেতে ওয়েস্ট ইন্ড🃏িজ।
চতুর্থ ম্যাচে যুবি আর কাইফ হাফসেঞ্চুরি কর💫েছিলেন। ধোনি করেছিলেন ৪৬ রান। তবে ভারতের দেওয়া ২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৬ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে সহজ জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পঞ্চম ম্যাচে উইন্ডিজের দেওয়া ২৫৬ রান তাড়া করতে গিয়ে ১৯ রানে হারে ভারত। সেহওয়াগ ৯৫ করেও ভারতের হার বাঁচাতে পারেননি।