বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচে বেশ বেকায়দায় পড়েছিল ভারত। ১৪৪/৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রথম দিনেই। এরপর ক্রিজে আসেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তখন হয়তো সবাই ভাবছিল ভারত প্রথম দিনেই অলডাউন হয়ে যাবে। কিন্তু জাদেজাকে সঙ্গী করে খেলার রূপ বদলে দিলেন অশ্বিন। রাখলেন নিজের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের নিদর্শন। দিনের শেষে এই জুটির কাঁধে ভর করে ৩০০ রানের লক্ষ্য মাত্রা পেরিয়ে যায় ভারত। প্রথম দিনের শেষে ভা𓆏রতের স্কোর দাঁড়ায় ৮০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান।🍸 এরপর ভারত শুক্রবার অল আউট হয়ে যায় ৩৭৬ রানে।
প্রথমদিন অপরাজিত ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা। অশ্বিন ১১২ বলে ১০২ রান এবং জাদেজা ১০৭ বলে ৮৬ রান করে নট আউট ছিলেন। অশ্বিন শুধু শতরান করেননি, করেছেন একেবারে বিধ্বংসী মেজাজে। তিনি মোট ১০টি ৪ এবং ২টি ৬ মেরেছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের খেলার শেষে অশ্বিন জানান, তাঁর এই ব্যাটিংয়ের অনুপ্রেরণা ঋষভ পন্ত। তিনি বলেন, ‘উইকেট অবশ্যই একটু কঠিন ছিল। তবে কিছু জিনিসের উপর নজর দিতে হয়েছে। আপনি যদি শট খেলতে চান তাহলে ঋষভের মতো খেলতে হবে। এটা পুরোনো চেন্নাইয়ের পিচ। এখানে কিছুটা বাউন্স এবং ক্যারি পেয়ে থাকে বোলাররা।🍃 তবে লাল মাটির এই পিচ আপনাকে কিছু শট খেলার অনুমতি দেবে যদি আপনি বলের লাইন এবং লেন্থ সঠিক যাচাই করে খেলতে পারেন’।
বিগত কিছু বছর ধরে নিজের ব্যাটিংয়ের উপর বাড়তি পরিশ্রম করছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এমনকি তিনি ব্যাট এবং বল উভয় ক্ষেত্রে বেসবল মেকানিজম অধ্যয়ন করতে আমেরিকা ভ্রমণেও গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিন উইকেট কেমন থাকতে পারে সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে অশ্বিন বলেন, ‘এটি একটি সাধারণ পুরোনো ধাঁচের চেন্নাই পিচ, যেখানে ওভারস্পিন কিছুটা বাউন্স আন♏বে। খেলার অনেক পরে উইকেট তার নিজের রং দেখাতে শুরু করবে। পিচ যথেষ্ট দ্রুত এবং ভালো ক্যারি ও বাউন্সও রয়েছে। নতুন বলে বোলারদের জন্য কিছু বাড়তি সাহায্য থাকবে, আগামীকাল আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। পিচ আজ কিছুটা ধীর কারণ নিচ থেকে ভেজা রয়েছে। সেটা শুকিয়ে গেলে আরও কিছুটা দ্রুত হয়ে উঠবে’।