শুভব্রত মুখার্জি: ২০২৩ সালের আইপিএল𝓰ে একেবারে তলানিতে শেষ করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। গ্রুপ তালিকায় সবার শেষে শেষ করেছিল তারা। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে ২০২৪ সালে অবিশ্বাস্য কামব্যাক করে তারা। আক্রমণাত্মক, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে তারা এবার পৌঁছে যায় আইপিএলের ফাইনালে। সেখানে তারা মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ফাইনাল ম্যাচে তারা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী একেবারেই খেলতে পারেনি। প্রথম দিকে পরপর কয়েকটি উইকেট হারিয়ে তারা ব্যাকফুটে চলে যায়। সেখান থেকে তারা আর ফিরে আসতে পারেনি। তবে ২০২৪ আইপিএলের ফাইনালে হারকে তারা পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান। আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে চান পরের মরশুমে। আর সেই অঙ্গꦜীকার শোনা গেল তাদের সহকারী কোচ সাইমন হেলমটের গলাতে।
আরও পড়ুন: মন্নাতে বসে গম্ভীরকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছিলেন শা🌌হরুখ, কি🌟ছুই টের পাননি LSG কর্ণধার- রিপোর্ট
ম্যাচ শেষে সাইমন জানিয়েছেন, ‘পেস হোক বা স্পিন সব ধরনের বোলিংকেই ভালো ভাবে খেলতে পারে 🍷আমাদের ব্যাটাররা। বাঁহাতি পেস বোলিং খেলতে বেশ অভিজ্ঞ ট্রꦆ্যাভিস হেড। ওর কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত বেশ ভালো ভাবেই খেলেছে বাঁহাতি পেসারকে। আমরা এই মরশুমে বেশ কিছু অসাধারণ ম্যাচ খেলেছি। যেখানে অভিষেক (শর্মা) এবং হেড খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। অনেক সময়ে এমন হয়েছে মিডল অর্ডার থেকে আমরা যতটা রান আশা করেছিলাম, ততটা রান পাইনি। তবে ফাইনাল ম্যাচে দলগতভাবে ব্যাটিংয়ে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। কেকেআরেরও এই মরশুমটা দারুণ কেটেছে। ওরা নিজেদের ৭০ শতাংশ ম্যাচে জিতেছে। ওরা খুব আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছে। তার সুফল ওরা গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে পেয়েছে। আমরাও সামনের মরশুমে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার অঙ্গীকার করছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রথম কথা হল, আমরা আমাদের খেলার ধরন বা আক্রমণাত্মক মানসিকতা বদলে ফেলছি না। আমি মনে করি, গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে আমরা খুব পজিটিভ ক্রিকেট খেলেছি। ফাইনালে প্রথমেই আমরা দু'টো উইকেট হারাই। আর এই ঘটনা আমাদেরকে বেশ ব্যাকফুটে ঠেলে ঠেয়। আমাদের গোটা ইনিংসে একটা ভালো পার্টনারশিপ হয𝔍়নি। সেটা হলে ম্যাচের ফল অন্য রকম হতে পারত। আমি ওই পার্টনারশিপটা খুব মিস করেছি। আমরা আর একটু ভালো ক্রিকেট খেলতে পারতাম। তবে আমি আমার দলের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে গর্বিত। ফাইনালের এই হারটা দলের প্রত্যেকের জন্য খুব শিক্ষণীয়।’ উল্লেখ্য, ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ১১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে আইপিএলের শিরোপা জয় নিশ্চিত করে কেকেআর।