২০২৪ আইপিএলে বিরাট কোহলির বনাম সুনীল গাভাসকর তরজা লেগে গিয়েছে। কোহলির স্ট্রাইকরেট এবং স্পিনাদের খেলার ক্ষমতা বিশেষজ্ঞ এবং ধারাভাষ্যকররা প্রশ্ন তুলেছেন। গাভাসকার-ও কড়া কথা সমালোচনা করেছেন কোহলির। তবে ছেড়ে দেওয়ার বান্দা নন বি🐽রাটও। আর সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গাভাসকরের সঙ্গে ঝামেলা লেগে গিয়েছে কোহলির।
গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরেই কোহলি নিশানা করেছিলেন▨ সমালোচকদের। ঠান্ডা ঘরে বসে স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনার জন্য তীব্র নিন্দা করেন তিনি। কোহলি বলেছিলেন, ‘আমার সম্পর্কে অনেকে অনেক কথাই বলে। কেউ বলে আমি দ্রুত রান করতে পারি না। কেউ বলে ꦫস্পিন খেলতে পারি না। ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। আমি এখন এই সব কথায় আর কান দিই না। নিজের কাজ করে যাই। আত্মসম্মান বজায় রেখে খেলতে চাই। সমর্থকদের জন্য খেলতে চাই।’
আরও পড়ুন: রোহি𓃲ত IPL 20🥃25-এ কোনও ভাবেই MI-এর হয়ে খেলবেন না, বড় দাবি করলেন পাক কিংবদন্তি আক্রম
এর পরে পালটা আক্রমণ করেন গাভাসকারও। তিনি বলেন, ‘💟ধারাভাষ্যকাররা তো তখন প্রশ্ন তুলেছে (বিরাটের প্রতি), যখন স্ট্রাইক রেট মাত্র ১১৮ ছিল। যদিও আমি বিষয়টি নিয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নই। কারণ আমি এই মুহূর্তে খুব বেশি ম্যাচও দেখছি না। তাই আমি এটা বলতে পারব না যে, বাকি ধারাভাষ্যকাররা কী বলেছে । তবে এটা বলতে পারি যে, তোমার (বিরাটেꦜর) স্ট্রাইক রেট যদি ১১৮ থাকে এবং তার পর যদি ওই স্ট্রাইক রেট থাকাকালীন তুমি ১৪-১৫ ওভারে আউট হয়ে যাও তাহলে বিষয়টি মেনে নেওয়া মুশকিল। তুমি যদি এর জন্য ক্রেডিট চাও, হাততালি চাও, তাহলে ব্যাপারটা অন্য রকম।’
ভারতের দুই কিংবদন্তির ঝামেলায় এবার নাক গলিয়েছেন পাক কিংবদন্🤡তি ওয়াসিম আক্রম। স্পোর্টসকিডায় একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, ‘দু'জনেই সেরা। সানি ভাই, ক্রিকেটার হিসেবে মাঠের মধ্যে, মানুষ হিসেবে ওকে চিনি। ধারাভাষ্যকার হিসেবে, জানি না কত দিন যুক্ত রয়েছে। হয়তো আড়াই দশক ধরে। আর গ্রেট ম্যান বিরাট কোহলির কথায় আসা যাক। ও একজন শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার। আধুনিক ক্রিকেটের গ্রেট। ও যে ধরণের পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে, তাতে হয়তো ও সর্বকালের অন্যতম সেরা। তবে আমার মনে হয়, বিরাটের মোটেও এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি।’
আক্রম আরও যোগ করেন, ‘এটাই তো একজন ধারাভাষ্যকারদের কাজ। ও যদি কয়েকটা ম্যাচে স্লো খেলেও থাকে, তা হলে ধারাভাষ্যক🃏ার তো এটা নিয়ে মন্তব্য করবেই। উচিত ছিল ভুলে যাওয়া। তবে বিরাট মোটেও এরকম ছেলে নয়। দু'জনেই ভারতের গর্ব। দু'জনেই এটা দ্রুত ভুলে যাবে। মনে হয় না, কেউ এটা ব্যক্তিগত ভাবে নেবে। দু'জনের সম্পর্ক অটুট থাকবে। দু'জনকে কাছ থেকে চেনার সুবাদেই বলছি।’