আধুনিক টি-২০🦩 ক্রিকেটে নিত্য নতুন উদ্ভাবনী শটের হদিশ মেলে প্রতিনিয়তই। রিভার্স সুইপ, সুইচ হিট, স্কুপ, ব়্যাম্প শট, এমনকি সুপলা শট দেখতেও অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে ইলে♎নিয়া সিমস ক্রিকেটবিশ্বকে যে শটের হদিশ দিলেন, তেমন শট ক্রিকেটের ইতিহাসে আগে কখনও দেখা গিয়েছে কিনা সন্দেহ।
শনিবার ইসিআই উইমেন্স লিগের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে ইতালি ও স্পেনের মহিলা ෴ক্রিকেট দল। টি-১০ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ইতালি। তারা নির্ধারিত ১০ ওভারে ২ উইকেটের ব♓িনিময়ে ১৩৬ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
ওপেনার দিলাইশা নানায়াকারা💙 দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ৪টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ৬১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। অপর ওপেনার মেতনারা রত্নায়কে ২৭ বলে ৩৬ রান করেন। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। 🍬তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ইলেনিয়া সিমস ৯ বলে ২২ রান করে নট-আউট থাকেন। তিনি ৫টি চার মারেন।
আরও প🌱ড়ুন:- T20 বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন কারা? দেখুন সেরা পাঁচের তালিকা
প্রথম ইনিংসের শেষ ওভারে বল করতে আসেন স্পেনের পায়েল শিলঙ্গা। তাঁর প্রথম বলেই রিভার্স শট খেলেন ইলেনিয়া। যদিও বল চলে যায় ফাইন-লেগ বাউন্ডারির বাইরে। সচরাচর রিভার্স শট খেললে বল যাওয়া উচিত থার্ডম্যান বাউন্ডারিতে। তবে এক্ষেত্রে রিভার্স শট খেলার সময় ব্যাটার এতটাই ঘুরে শট খেলেন যে, উইকেটকিপার ও স্টাম্পের মাঝখান দিয়ে বল চলে যায় উল্টো দিকে। ꦉঅর্থাৎ, ডানহাতি ব্যাটার ইলেনিয়া সুইপ শট খেললে যে জায়গায় বল যাওয়া উচিত ছিল, তিনি রিভার্স সুইপে বল পাঠান সেই জায়গায়।
স্পেন সেই বলে শর্ট ফাইন-লেগে ফিল্ডার রেখেছিল। ব্যাটার স্টান্স বদলাতেই সেই ফিল্ডার উইকেট💯কিপারের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেন। তিনি ঘুণাক্ষরেও অনুমান করতে পারেননি যে, বল যেতে পারে তাঁর বাঁ-দিকে। অর্থাৎ, সুইপ শটে যে কাজ করা যেত, ইলেনিয়া সেই কাজ করেন রিভার্স সুইপে। ফিল্ডারদের বোকা 🍨বানানোর এমন উপায় চমকে দেয় ধারাভাষ্যকারদেরও। তাঁরা এই শটটিকে ডাবল রিভার্স শট আখ্যা দেন।
ম্যাচে স্পেনকে ৬৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয় ইতা⛄লি। পালটা ব্যাট করতে নেমে স্পেন নির্ধারিত ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান সংগ্রহ করে। ৩৫ বলে ൩৪৩ রান করেন নাওমি। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।