সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচের ফলাফল দেখেই🍰 বোঝা যাচ্ছিল যে আর যাই হোক, লড়াইটা সেয়ানে-সেয়ানে হচ্ছে না মোটেও। তবে অসম লড়াই কতটা একপেশে হতে পারে, সেটা জাপান বনাম মঙ্গোলিয়া টি-২০ সিরিজ না দেখলে বোঝা মুশকিল ছিল।
সাত ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-২০ সিরিজ খেলতে জাপান সফরে গিয়েছে মঙ্গোলিয়া। সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে জাপান তোলে ৫ উইকেটে ১৯৯ রান। জবাবে ব্যাট ক෴রতে নেমে মঙ্গোলিয়া ৩৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৬৬ রানে ম্যাচ জেতে জাপান।
দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে জাপান ৭ উইকেটে ২১৭ রান তোলে। পালটা ব্যাট কর🃏তে নেমে মঙ্গোলিয়া মাত্র ১২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ২০৫ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে জাপান।
সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে জাপান প্রথমে ব্যাট 🌞করতে নেমে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৩ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে মঙ্গোলিয়া ১ উইকেট হারিয়ে ৪ রান তুললে মন্দ আবহাওয়ায় ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মাঝপথেই পরিত্যক্ত হয় সেই ম্যাচ।
সিরিজের চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে মঙ্গোলিয়াকে আরও লাঞ্ছিত হতে হয়। কেননা এবার শুরুতে ব্যাট করতে নামে মঙ্গোলিয়া। তারা ১৫.২ ওভার ব্যাট করে কষ্টেশিষ্টে ২৬ রান তুলে অল-আউট হয়ে যায়। তাও ৮ রান আসে অতিরিক্ত হিসেবে। দলের ৬ জন ꦚব্যাটার খাতা খুলতে পারেননি।
নিতান্ত ছোটখাটো লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে জাপান বিশেষ সময় নষ্ট করেনি। ১.২ ওভারেই কোনও উইকেট না হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭ রান সংগ্রহ করে নেয় তারা। সুতরাং, ২০ ওভারের ম্যাচ মাত্র ৮ বলেই জিতে নেয় জাপান। তা🧔রা ম্যাচ জেতে ১১২ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটের ব্যবধানে। সেই সঙ্গে সিরিজে ৩-০ লিড নেয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বল বাকি থাকার নিরিখে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। সব থেকে বেশি বল বাকি থাকতে আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ জয়ের বিশ্বরেকর্ড🍨 রয়েছে স্পেনের নামে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি 🥂যে, ২০২৩ সালে আইল অফ ম্যানের বিরুদ্ধে মাত্র ২ বলেই টি-২০ ম্যাচ জেতে স্পেন।
সেই ম্যাচে আইল অফ ম্যান শুরুতে ব্যাট করে ৮.৪ ওভারে ১০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পালটা ব্যাট করতে নেমে স্পেন ২ বলে ১৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ২টি ছক্কা মারেন ব্যাটার এবং এক রান আসে নো-বল থেকে। অর্থাৎ, স্পেন স🐲েই ম্যাচ জেতে ১১৮ বল বাকি থাকতে।