শুভব্রত মুখার্জি: মাত্র কয়েক দিন আগেই দেশের মাটিতে ভারতীয় সিনিয়র মহিলা ক্রিকেট দল লাল বলের ক্রিকেটে দু'টি অভূতপূর্ব🔯 জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। প্রথমে ইংল্যান্ড এবং পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দু'টি ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ জিতেছেন হরমনপ্রীত কৌররা। আর এই দুই জয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন জেমিমা রডরিগেজ এবং দীপ্তি শর্মা। আর তার পুরস্কারও পেলেন এই দুই ক্রিকেটার। আইসিসি-র মাসের সেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নের যে তালিকা প্রকাশ পেয়েছে, তাতে মহিলা বিভাগে স্থান পেয়েছেন তিন ক্রিকেটার। আর তার মধ্যেই রয়েছেন দুই ভারতীয় ক্রিকেটার জেমিমা এবং দীপ্তি। পাশাপাশি পুরুষ বিভাগে মাসের সেরা হওয়ার লড়াইতে রয়েছেন ওডিআই বিশ্বকাপে জয়ী অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের জন্য সেরা হওয়ার মনোনয়ন পেয়েছেন দীপ্তি এবং জেমিমা। তাদের সঙ্গেই এই ত💎ালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৪১ বছর বয়সী জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটার প্রেশাস মারাঙ্গে। মেয়েদের মাসের সেরার লড়াইয়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন জিম্বাবোয়ের ৪১ বছর বয়সী মারাঙ্গে। প্রেশাস মারাঙ্গে জিম্বাবোয়ের অফস্পিনার। ২০২৪ মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপের আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইপর্বে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। হয়েছিলেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। মারাঙ্গের সঙ্গে মাসের সেরার লড়াইয়ে রয়েছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ভারতীয় জেমিমা এবং দীপ্তি । ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টে ৫৫ গড়ে ১৬৫ রান করেছিলেন দীপ্তি। পাশাপাশি ১০.৮১ গড়ে তিনি নেন ১১টি উইকেট। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন দীপ্তি। পাশাপাশি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টেই একটি করে অর্ধশতরান করেছেন জেমিমা। পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও হয়েছিলেন জেমিমা।
অন্যদিকে ডিসেম্বর মাসের সেরা পুরুষ ক্রিকেটারের মনোনয়ন পেয়েছেন প্যাট কামিন্স, গ্লেন ফিলিপস এবং বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভালো পারফরম্যান্স করে সেরা তিনে ঢুকেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ডিসেম্বরে সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন তাইজুল। টাইগাররা ম্যা♐চ জিতেছিল ১৫০ রানে। মিরপুরে সিরিজের শেষ টেস্টে হারলেও, দুই ইনিংস মিলিয়ে তাইজুল নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।মোট ১৫টি উইকেট নি♉য়ে সিরিজের সেরাও হয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী বোলার।
অন্যদিকে গ্লেন ফিলিপস মিরপুর টেস্টে বল হাতে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৮৭ রান করেন ফিলিপস। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৪০ রান। যা দলকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে। ১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৬৯ রানেই হারিয়ে ফেলেছিল ৬ উইকেট। সেখান থেকেই মিচেল স্যান্টনারকে (৩৫*) সঙ্গী হিসেবে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন ফিলিপস। অপরাজিত থাকেন ৪০ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কামিন্সও মনোনয়ন পেয়েছেন। পাকিস্তান সিরিজে পার্থে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেট নেন, মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে দুই ইনিংꦅসেই নেন ৫টি করে উইকেট। আর তাঁর এই পারফরম্যান্সে ভর করেই পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে অস্ট্রেলিয়া দল। তাঁর ক্ষুরধার বুদ্ধিতে ভর করে ওডিআই বিশ্বকাপের শিরোপা ও জিতেছে অজিরা। আর সব মিলিয়ে মাসের সেরার দৌড়ে অন্যদের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছেন কামিন্স।