♏ লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট- একেবারে সামনে দেখে নেতৃত্ব দিয়ে, ব্যাট হা নিজে ঝড় তুলে দলকে জেতালেন রাজস্থানের অধিনায়ক দীপক হুডা। দুরন্ত গতিতে ১২৮ বলে ১৮০ রানের ঝোড়ো একটি ইনিংস খেলে নজির গড়লেন, সঙ্গে রাজস্থানকে বিজয় হাজারের ফাইনালে তুললেন লখনউ সুপার জায়ান্টের তারকা। কর্ণাটকের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৮ বল বাকি থাকতেই, ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান। ফাইনালে তারা হরিয়ানার মুখোমুখি হবে।
⭕টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড় করছিল কর্ণাটক। ৮৭ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে তারা চাপে পড়ে গিয়েছিল। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে কেউই ৪০ রানেও পৌঁছতে পারেননি। তাও চারে নেমে কর্ণাটকের উইকেটকিপার ব্যাটার কৃষ্ণান সৃজিত ৪৫ বলে ৩৭ রান করেছিলেন। এছাড়া পাঁচে নেমে মণিশ পাণ্ডে সঙ্গত করেন অভিনব মনোহরকে। নিজে ৪৮ বলে ২৮ করে আউট হলেও, অভিনবের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে মিলিত ভাবে স্কোরবোর্ডে ৮৯ রান যোগ করেন। তবে বেশি রানটাই করেছেন অভিনবই।
𓄧ছয়ে ব্যাট করতে নেমে অভিনব ৮০ বলে ৯১ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। মাত্র ৯ রানের জন্য তিনি সেঞ্চুরি মিস করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং ৩টি ছক্কা। এছাড়াও সাতে নেমে মনোজ ভন্ডাগে ৩টি চার এবং পাঁচটি ছয়ের হাত ধরে ৩৯ বলে ৬৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। এই দুই তারকার হাত ধরেই আড়াইশো রানের গণ্ডি টপকায় কর্ণাটক। নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা ২৮২ রান করে। রাজস্থানের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন অনিকেত চৌধুরী এবং কুকনা অজয় সিং।
♔রান তাড়া করতে নেমে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে বসে থাকে রাজস্থান। প্রথম ওভারেই দল রানের খাতা খোলার আগে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন অভিজিৎ তোমার। দ্বিতীয় ওভারে আর এক ওপেনার রাম চৌহানও শূন্য করেই আউট হন। তখন দলের রান মাত্র ১। স্বাভাবিক ভাবেই ইনিংসের শুরুতেই মারাত্মক চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। এর পর মহিপাল লোমরোও (১৭ বলে ১৪ রান) তাড়াতাড়ি নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। দলের রান তখন সবে ২৩।
আরও পড়ুন: 💃বিদায়ী সিরিজে সেঞ্চুরি করেই নিন্দুকদের বিশেষ বার্তা ওয়ার্নারের, পেরিয়ে গেলেন ক্লার্ক, হেডেনকে
𓃲রাজস্থান যখন খাদের কিনারায়, তখন দলের হাল ধরেন অধিনায়ক দীপক হুডা। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন করণ লাম্বা। চতুর্থ উইকেটে এই জুটি ২৫৫ রান যোগ করে, রাজস্থানের জয়ের রাস্তা পাকা করে দেয়। দীপক শুরু থেকেই চাপ কাটাতে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেন। ১৯টি চার এবং ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে ১২৮ বলে ১৮০ রান করে দীপক গড়ে ফেলেন নজির। বিজয় হাজারে ট্রফিতে এক ইনিংসে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান করেন দীপক। এই তালিকায় রুতুরাজ গায়কোয়াড় রয়েছেন শীর্ষে। ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের হয়ে অপরাজিত ২২০ রান করেছিলেন রুতু। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবি কুমার আবার ২০২১ সালে কেরালার বিরুদ্ধে কর্ণাটকরে হয়ে ১৯২ রান করেছিলেন। সেই বছরই সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের হয়ে পৃথ্বী শ' অপরাজিত ১৮৫ রান করেছিলেন। এর পরেই চারে জায়গা করে নিয়েছেন দীপক।
🐼দীপক হুডা এদিন যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফিরছেন, তখন ম্যাচ কার্যত পকেটে পুড়ে ফেলেছে রাজস্থান। শেষ পর্যন্ত ১১২ বলে অপরাজিত ৭৩ করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন করণ লাম্বা।