শুক্রবার লর্ডসে ব্যাট হাতে বেনজির তাণ্ডব চালান লিয়াম লিভিংস্টোন। সর্বকালীন এক রেকর্ড গড়ার পথে অজি পেসার মিচেল স্টার্ককে উপহার দি🎃লেন একরাশ লজ্জা। অবশ্য শুধু স্টার্ককেই নয়, বরং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের চতুর্থ ওয়ান ডে ম্যাচে লাঞ্ছিত হতে হয় গোটা অস্ট্রেলিয়া দলকেই।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে𓃲 লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের চতুর্থ ওয়ান ডে ম্যাচে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। টস-ভাগ্য সঙ্গ দ𒅌েয় অজিদেরই। তবে এক্ষেত্রে টস জিতে ইংল্যান্ডকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠানো যে ভুল হয়েছিল অজি দলনায়ক মার্শের, সেটা বোঝা যায় ম্যাচের ফলাফলে চোখ রাখলেই।
ইংꩵল্যান্ডের হয়ে মারকাটারি হাফ-সেঞ্চুরি করেন বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোন। তবে তাণ্ডবে ডাকেট ও ব্রুককে বিস্তর পিছনে ফেলে দেন লিয়াম। বৃষ্টির জন্য ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ৩৯ ওভার প্রতি ইনিং🎃সে। ইংল্যান্ড শুরু থেকে যে রকম ছন্দে ব্যাট করছিল, তাতে তারা আড়াইশো রানের গণ্ডি টপকাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল।
তবে ব্রিটিশরা শেষমেশ ৩০০ রানের গণ্ডি টপকে যায় লর্ডসে। সৌজন্যে লিয়াম লিভিংস্টোনের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস। লিভিংস্টোন ২টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। লর্ডসে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটিই দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির সর্বকালীন🌳 রেকর্ড।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, লিভিংস্টোন ইনিংসের শেষ ওভারে মিচেল স্টার্ককে ৪টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন। ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানোর পরে দ্বিতীয় বলে কো🐟নও রান সংগ্রহ করতে পারেননি তিনি। তবে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর ৩টি ছয় মারেন লিয়াম। শেষ বলে চার মারেন তিনি। অর্থাৎ, সেই ওভারে মোট ২৮ রান ওঠে।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে অস্ট্রেলিয়ার আর কোনও বোলার এক ওভারে ২৮ রান খরচ করেননি। সেদিক থেকে অজিদের হয়ে সব থেকে খরুচে ওভারের লজ্জাজনক রেকর্ড গড়ে বসেন স্টার্ক, যিনি ঘটনাচক্রে আইপিএলের ইতিহাসের সব থেকে দামি ক্রি🔜কেটার। এর আগে যুগ্মভাবে এই রেকর্ড ছিল সাইমন ডেভিস, ক্রেগ ম্যাকডারমট, জেভিয়ার ডোহার্টি, অ্যাডাম জাম্পা ও ক্যামেরন গ্রিনের। এঁরা প্রত্যেকেই এক ওভারে ২৬ রান করে খরচ করেছিলেন। সুতরাং, স্টার্ক এঁদের সকলকে হতাশাজনক রেকর্ড থেকে মুক্তি দিলেন বলা যায়।
লিয়াম লিভিংস্টোন শেষমেশ ২৭ বলে ৬২ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি মোট ৩টি চার ও ৭টি ছক্কা মারেন। ইংল্যান্ড নির্ধারিত ৩৯ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩১২ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ২৪.৪ ওভারে ১২৬🧔 রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-২ সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড।