এক সময়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা দুই সতীর্থ- ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল জনসন বর্তমানে তিক্ত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। জনসন তাঁর কলামে চাঁচাছোলা ভাষায় লিখেছেন যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের জন্য ওয়ার্নারকে বেছে নেওয়ার কারণ ছিল, তিনি সিরিজের পরে ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিতে চলেছে। তাঁর ফর্মের জন্য নয়। পাশাপাশি প্রাক্তন অজি পেসার এও জাহি করেছিলেন, প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি আসলে বেশ কিছু প্লেয়ারের খুব ক🔴াছের। তাই এটি তাঁ🅘র নির্বাচন প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করছে। আর এই ঘটনার পর জনসন নিজে পাল্টা চাপে চাপা পড়ে গিয়েছেন।
এর আগে, জনসন বলেছিলেন যে, তিনি টেস্ট সিরিজের জন্য ট্রিপল এম ধারাভাষ্য দলের অংশ হবেন। তবে মঙ্গলবার কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রকাশিত ধারাভাষ্যকরদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। এতে মার্ভ হিউজ, ওয়াসিম আক্রম এবং মার্ক টেলরের মতো কিংবদন্তিদের নাম রয়েছে। অর্থাৎ এটা পরিষ্♎কার যে, ওয়ার্নারকে নিয়ে মিচেল জনসনের মন্তব্য খুব একটা ভালো ভাবে নেয়নি কেউই। যে কারণে ধারাভাষ্যকরদের তালিকা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডেভিড ওয়ার্নার সম্প্রতি বিদায়ী টেস্ট খেলার ইচ꧃্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর দাবি মেনে নেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। যার ফলে প্রথম টেস্টের দলে রাখা হয়েছে ওয়ার্নারকে। তার পরেই তাঁকে নিশানা করেছেন মিচেল জনসন। এক সময় অস্ট্রেলিয়া দলে ওয়ার্নারের সতীর্থ ছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি টেনে এনেছেন ২০১৮ সালে স্যান্ডপেপার গেট কাণ্ডও।
‘দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান’-এ লেখা একটি কলামে অজি দল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মিচেল জনসন। তাঁর সবচেয়ে বড় ক্ষোভ ডেভিড ওয়ার্নারের নির্বাচন নিয়ে। জনসন লিখেছেন, ‘কেন ওর (ওয়ার্নারের) বিদায়ী টেস্ট খেলার ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কেন একজন ওপেনারকে বিদায়ী টেস্ট খেলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, যার গড় গত ৩৬ ইনিংসে ২৬.৭৪?’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা এখন ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কেউ কী বলতে পারবেন, কেন? কেন ফর্মের সঙ্গে লড়াই করা একজন ওপেনার নিজেই নিজের অবসরের তারিখ ঠিক🌺 করে? অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের কেন্দ্রে থাকা একজন খেলোয়াড়কে কেনই বা নায়কোচিত বিদায় দিচ্ছি আমরা?’
আরও পড়ুন: তরুণদের জন্য প্রোটিয়া সফর কার্যত অগ্ন🐓িপরীক্ষা, 🐷এই সিরিজের হাত ধরেই মিলতে পারে T20 World Cup-এ খেলার সুযোগ
মিচেল জনস꧑ন ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সময় ঘটে যাওয়া ‘স্যান্ডপেপার গেট’-এর কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। জনসন দাবি করেছেন যে, ‘ওয়ার্নার একটি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন, এবং এটি দেশের জন্য লজ্জার ছিল। কিন্তু এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ওয়ার্নার কখনও নিজের ভুল স্বীকার করেননি। যদিও ওয়ার্নারꩲ একা স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিল না। তবে ওই সময় ওয়ার্নার দলে সিনিয়র সদস্য ছিল। এমন একজন ছিল, যে নেতা হিসাবে তার ক্ষমতা দেখাতে পছন্দ করত। এখন ও এমন ভাবে অবসর নিচ্ছে, যেটা আমাদের দেশের প্রতি একই রকম ঔদ্ধত্য ও অসম্মান।’
তবে হঠাৎ কে🧜ন ডেভিড ওয়ার্নারের উপর এতটা খেপে গেলেন মিচেল জনসন? কেনই বা জাতীয় দলের একসময়ের সতীর্থের টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের পরিকল্পনা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হলেন প্রাক্তন পেসার?
আরও পড়ুন: হার্দিককে নিয়ে তাড়াহুড়ো নয়, তারকা অলরাউন্ডারের জন্য ১৮ সপ্তাহের বিশেষ রᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚুটিন তৈরি 🦩করল NCA
মিচেল জনসন ক্রিকেট শো পডকাস্টে নিজেই বলেছেন, গত এপ্রিলে ওয়ার্নারের কাছ থেকে পাওয়া একটি এসএমএস-ই তাঁর এতটা ক্ষেপে যাওয়ার কারণ। সেই ছোট্ট এসএমএস ওয়ার্নার পাঠিয়েছিলেন জনসনের কাছ থেকে সমালোচনা শোনার পর। সﷺেই সময়ে ওয়ার্নারের ফর্ম নিয়ে কথা বলেছিলেন জনসন। জনসন সমালোচনা করেছিলেন ওয়ার্নারের স্ত্রীকে নিয়েও। ক্যান্ডিস কেন ওয়ার্নারের টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে টেলিভিশনে কথা বলেছেন, সেটিরও সমালোচনা করেছিলেন জনসন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৩টি টেস্ট খেলা বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার জনসন ওই পডকাস্টে বলেন, ‘ওই ঘটনার পর আমি ডেভের (ওয়ার্নার) কাছ থেকে বার্তা পেলাম, খুবই ব্যক্তিগত (আক্রমণ) ছিল সেটি। আমি তখন ওকে ফোনে ধরার চেষ্টা করলাম, চেষ্টা করলাম কথা বলতে। আমি সব সময়েই যে কোনও কিছু নিয়ে কথা বলতে রাজি আছি। খেলা ছাড়ার পরেও ওদের (সতীর্থ) সঙ্গে সব সময়েই কথা বলেছি। আমি বলেছি, সংবাদমাধ্যমে আমার লেখা এবং কথা যদি♊ কারও ভালো না লাগে, আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে।’