পার্থে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টে ২৯৫ রানে জয় পেয়েছে ভারত। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পরেও এই ভাবে ফিরে আসা যায় সেটা প্রমাণ করেছে বিরাট-বুমরাহরা। ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও এই টেস্টের উপর নজর রেখেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় দলের এই কামব্যাকের প্রশংসা করলেন তিনিও। জেড্ডায় রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে IPL অকশনে অংশ নিয়েছিলেন দ্রাবিড়। সেখান থেকেই তিনি টিম ইন্ডিয়ার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে টেস্টে পরাজয়ের পর এরকম ভাবে জয় পাওয়ার বিষয়টার উপর জোর দেন দ্রাবিড়। তিনি বলেন, ‘এটা একটা অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে হারের পর তারা সত্যিই খুব ভালো কামব্যাক করেছে। প্রথম টেস্টে সব সময় চাপ থাকে, কিন্তু তারা যেই ভাবে প্রতিক্রিয়া জানি♚য়েছে তা দুর্দান্ত .. বিশেষ করে সেই বিকেলে জসপ্রীত বুমরাহ অসাধারণ ছিল।’
রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে পার্থ টেস্টে ভারতের অধিনায়ক হয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। দলনেতা হিসেবে দলকে একেবারে সামনের থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। যখন প্রথম ইনিংসে ভারত মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয়ে যায় তখন অ🌼জিদের উপর পাল্টা চাপ তৈরি করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন বুমরাহ। ২ ইনিংস মিলিয়ে পার্থে মোট ৮ উইকেট নেন তিনি। যেই কারণে তাঁকে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়। তবে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত যখন নিয়েছিলেন বুমরাহ তখন সবাই অবাক হয়েছিলেন। গ্রীন টপ উইকেটে প্রথমে ব্যাট করাটা কী ঠিক হবে? প্রশ্ন তুলছিলেন অনেকে। কিন্তু দিনের শেষে তাঁর সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল সেটাই প্রমাণিত হল।
ভারতের প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দ্রাবিড় বলেন, ‘আপনি টসে জিতলেন, ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং ১৫০ রানে অলআউট হয়ে গেলেন, তখন আপনি বুঝতে পারলেন চায়ের বিরতির পরের সেশনটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তারপর অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেট ফেলে দেওয়া এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বিশাল রানের পাহাড় তৈরি করা- পুরোটা মিলিয়ে এটা একটা অসাধারণ টেস্ট ম্যাচ ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা অনেক লম্বা সিরিজ, আশা করব ছেলেরা ভালো করবে। আমি দূর থেকেই ওদের খেলা দেখছি এবং সমর্থন করছি। আমার অর্ধেক মস্তিস্ক ওখানেই পড়ে রয়েছে।’ উল্লেখ্য, জুন মাসে ভারত টি-২০ বিশ্বকাপ জয় করার পর ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর জায়গায় নতুন কোচ হন গৌতম গম্ভীর।