শ্রেয়স আইয়ারকে কি রিটেন করতে চায়নি কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)? নাকি শ্রেয়স নিজেই থাকতে চাননি? আইপিএল দুনিয়ায় সেই প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানই চলছিল। ঘুরিয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন কেকেআরের সিইও বেঙ্কি মাইসোর। বৃহস্পতিবার বিকেলে রিটেনশনের তালিকা প্রকাশের পরে ‘কেকেআর নাইট ক্লাব’-র সাক্ষাৎকারে বেঙ্কি বলেন, ‘একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে না যে রিটেনশনের বিষয়টি স্রেফ একদিক থেকে হয় না। এটা এমন একটা বিষয়, যেটা নিয়ে উভয়পক্ষকেই♔ সম্মত হতে হয়। কখনও কখনও পারস্পরিক সম্মতির পর্যায়ে পৌঁছানো যায়। কিন্তু আপনাকে এই বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে যে (কখনও কখনও) কোনও খেলোয়াড় অন্য পথে হাঁটতে চান। এরকম পরিস্থিতি যখন তৈরি হয়, তখন সেটা কিছুটা কঠিন হয়। কিন্তু এরকম হয়ই।’
'যাঁদের রিটেন করা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে বেশি কথা বলিনি'
ওই কথাগুলো বলার সময় ꧂কারও নাম করেননি কেকেআরের সিইও। কিন্তু কাকে নিয়ে তিনি সেই মন্তব্য ছিল, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। তিনি বলেন, ‘সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল যে আমরা সবসময় স্বচ্ছত💫া বজায় রেখেছি। আর প্রত্যেকের ঠিকঠাকভাবে সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে গিয়েছি। যে ছয়জনকে আমরা রিটেন করেছি, তাদের সঙ্গে আমার তেমন কথাই হয়নি। বরং যাদের আমরা রিটেন করতে পারিনি, তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’
অর্থাৎ তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন সেইসব মহলকে, যে মহল থেকে দাবি করে আসা হচ্ছিল যে শ্রেয়সের সঙ্গে নাকি কেকেআরের তরফে আগে যোগাযোগ করা হয়নি। আগের রবিবার থেকে তাঁর সঙ্গে আলোচনা চালাতে শুরু করে কেকেআর। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে কেক🌠েআরের সিইও বলেছেন, ‘এটা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে প্রত্যেকের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। অধিকাংশ (খেলোয়াড়ই) আমাদের অবস্থা বুঝেছে। প্রায় সবক্ষেত্রেই প্রত্যেকে বলেছে যে ওদের রিটেন করার কি উপায় আছে? কিন্তু ওরা এটাও বুঝেছে যে আমরা কেন পারব না।’
‘১০-১১ জনকে করতে চেয়েছিলাম’
কেকেআরের সিইও জানিয়েছেন, গতবারের দলের কমপক্ষে ১০-১১ জনকে রিটেন করতে চেয়েছꩲিলেন তাঁরা। কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে মাত্র ছয়জনকে (রিঙ্কু সিং, সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, বরুণ চক্রবর্তী, হর্ষিত রানা এবং রামনদীপ সিং) রিটেন করতে পেরেছেন। সর্বোচ্চ ১৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রিঙ্কুকে। ১২ কোটি টাকা করে পেয়েছেন বরুণ, নারিন এবং রাসেল। আর হর্ষিত এবং রামনদীপকে চার কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
শ্রেয়স কি বেশি টাকা চাইছিলেন?
আর সেক্ষেত্রে বেশি টাকার জন্যই শ্রেয়স কেকেআর ছেড়েছেন কিনা, তা অবশ্য খোলসা করে বলেননি নাইট সিইও। একটি মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল যে শ্রেয়স কম করে ১৮ কোটি টাকা চেয়েছেন। যদিও ক𝓀েকেআর অত টাকা দিতে রাজি ছিল না ব𒉰লে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।