বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজে যশস্বী জসওয়াল, শুভমন গিল, লোকেশ রাহু🍸লদের অনবদ্য সব ক্যাচ ধরতে দেখা গিয়েছে। মহম্মদ সিরাজও কয়েকটি ক্ষেত্রে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের নমুনা পেশ করেছেন। তবে কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে লিটন দাসের যে ক্যাচটি ধরেন রোহিত শর্মা, তা♏কে এককথায় অসাধারণ বলা ছাড়া উপায় নেই।
যশস্বীরা নীচু ক্যাচ ধরেন দক্ষতার সঙ্গে। তবে রোহিত এক্ষেত্রে শূন্যে লাফিয়ে একহাতে অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরে নেন। এক্ষেত্রে রোহিতꦬের লাফানোর টাইমিং ছিল এক্কেবারে যথাযথ। দু'হাতে ক্যাচ ধরা সম্ভব ছিল না। সেক্ষেত্রে বলের নাগাল পেতেন না হিটম্যান। তাই, লাফিয়ে গাছ থেকে আম পাড়ার মতো হাওয়ায় ভেসে যাওয়া বল এক হাতে ধরে নেন রোহিত।
প্রথম ইনিংসের ৪৯.৪ ওভারে মহম্মদ সিরাজের বলে স্টেপ-আউট করে বড় শট নেওয়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস। টেস্ট সুলভ শট ছিল না মোটেও। লিটন মিড-অফের উপর দিয়ে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠানোর চেষ✤্টা করেন। রোহিত শর্মা অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। তিনি ঠিক সময়ে লাফিয়ে ডানহাতে বল লুফে নেন।
রোহিতকে এভাবে ক্যাচ ধরতে দেখে রীতিমতো হতভম্ব হয়ে যান ব্যাটার লিটন দাস। তিনি বেশ কিছুক্ষণ অবাক হয়ে ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকেন। হিটম্যানের এমন অনবদ্য ফিল্ডিংয়ের জন্যই ৩০ বলে ব্যক্তিগত ১৩ রান করে মাঠ ছাড়🔯তে হয় লিটনকে। তিনি ৩টি চার মারেন। বাংলাদেশ তাদের ওপ্রথম ইনিংসে দলগত ১৪৮ রানে ৫ উইকেট হারায়।
পরে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে 🌠শাকিব আল হাসানের দারুণ ক্যাচ ধরেন মহম্মদ সিরাজ। এই ক্যাচটিও সহজ ছিল না মোটেও। ৫৫.৬ ওভারে অশ্বিনের ডেলিভারির ফ্লাইট বুঝতে না পেরে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে বসেন শাকিব। সিরাজ নিজের পিছন দিকে শরীর ফেলে বল লুফে নেন। ফলে ১৭ বলে ৯ রান মাঠ ছাড়তে হয় শাকিবকে। তিনি ২টি চার মারেন। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে দলগত ১৭০ রানে ৬ উইকেট হারায়।
কানপুরে ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বৃষ্টি বড় বাধার সৃষ্ꦡটি করে। বৃষ্টির জন্য প্রথম দিনে খেলা হয় মোটে ৩৫ ওভার। টানা বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দিনের খেলা ভেস্তে যায়। বৃষ্টཧি না হলেও তৃতীয় দিনে বল গড়ায়নি পিচে। ভিজে আউটফিল্ডের জন্য তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়। যদিও ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ে।