আর্শদীপ সিংয়ের আগুনে জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে গেল প্রোটিয়ারা। তাঁর বিষাক্ত ছোবলে প্রোটিয়া ব্যাটারদের কার্যত গঙ্গাপ্রাপ্তি হল। রবিবার জোহানেসবার্গে প্রথম ওডিআই-এর প্রথম ইনিংসেই ম্যাচ হেরে বসে থাকে প্রোটিয়ারা। মাত্র ১১৬ রানে তারা অলআউট হয়ে যায় এদিন। টি-টোয়েন্টি স🌸িরিজে সেভাবে ছন্দে না থাকা আর্শদীপকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল। ওডিআই সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে তিনিই হিরো। একাই তুলে নিলেন ৫ উইকেট। গড়লেন ইতিহাস। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করে ৪ উইকেট নেন আবেশ খান। একটি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। আর এখানেই ম্যাচ হাত থেকে বের হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার।
বিশ্বকাপে ইডেনে ভারত🎃ের বিরুদ্ধে ৮৩ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। সেই স্মৃতি ফিরে এল রবিবার। তবে এবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৭.২ ওভারে ১১৬ রানেই খেল খতম প্র🦹োটিয়াদের।
এর আগে তিনটি ওয়ানডে খেলেছেন অর্শদীপ সিং। দু'টিতে বোলিং করলেও, উইকেটের পাননি। সেই অর্শদীপই এদিন নিজের প্রথম ওভারে নেন পরপর ২ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভার বল করে ৩৭ রান🅠 দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। তাঁকে প্রথম 𒆙স্পেলে টানা ৭ ওভার বল করানো হয়। সেই সময় ৪ উইকেট তুলে নেন আর্শদীপ। পরের স্পেলে এসে আরও একটি উইকেট নেন তিনি। আর্শই প্রথম ভারতীয় বোলার, যিনি একদিনের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিলেন।
জোহানেসবার্গে অর্শদীপের ইতিহাস লেখার দিনে, দক্ষিণ আফ্রিকা আবার গড়ে ফেলে লজ্জার নজির। ঘরের মাঠে ওয়ানডে-তে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন রা🌱ন করার নজির গড়ে। এর আগে ২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষেই ১১৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দলটি। এদিন আরও কম, ১১৬ রান করে তারা।
শুধু সর্বনিম্ন দলগত রানই নয়, তার আগে ঘরের মাঠে সবচেয়ে কম রানে ৬ উইকেটও হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর্শদীপ এবং আবেশ খানের দাপটে মাত্র ৫২ রানেই ৬ উইকেট হারায় তারা। এর আগে দ✱লটি সর্বনিম্ন ৬৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
আর্শদীপ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে টানা দুই বলে ফেরান রিজা হেন্ডরিক্স ও রাসি ভ্যান ডার দাসেনকে। দু'জনেই খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন। ৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ওপেনার টোনি ডি জর্জি (২২ বলে ২৮) এবং অধিনায়ক এডেন মার্করাম (২১ বলে ১২) মিলে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু জুটিতে ৩৯ রানের বেশি করতে পারেননি তাঁরা। আর্শ এর পর টোনি ডি জর্জিকে ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেটে মার্করামদের জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে অজি ইনিংস। অর্শদীপের তৃতীয় শিকার হয়ে জর্জি যখন আউট হন, দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪২।🍨
আরও পড়ুন: ইয়ং-লাথাম জুটিতে দিশেহারা বাংলাদেশের বোলাররা, বৃষ্টি বিঘ্নিত ওডিআই ৪৪ রানে জিত꧂ল কিউয়িরা
তবে দশম ওভারের শেষ বল আর ১১🐷তম ওভারের প্রথম দুই বল মিলিয়ে- টানা তিন উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ড চেহারাটাই পাল্টে যায়। ৫২ রানে ৬ উইকেট হয়ে যায়। এই ৬ উইকেটের চারটিই অর্শদীপের, দু'টি আবেশের। অর্শদীপ পরে তুলে নেন অ্যান্ডিলে ফেলুকায়োর উইকেটও। যিনি এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন। ৩টি চার, দু'টি ছক্কার হাত ধরে ৪৯ বলে ৩৩ রান করেন ফেলুকায়ো। তাঁর এই স্কোরের হাত ধরে কিছুটা লজ্জা বাঁচায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০০ রানের গণ্ডি পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মাত্র ১১৭ রান তাড়া করতে নেমে ভারত ১৬.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। এত কম রানের লক্ষ্য থাকলেও, ওপেন করতে নেমে নিরাশ করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ১০ বলে ৫ করে উইয়ান মাল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে সাই সুদর্শন এবং শ্রেয়স আইয়ার মিলে ৮৮ রান যোগ করেন। ৬টি চার এবং ১টি ছয়ের হাত ধরে ৪৫ বলে ৫২ করে আউট হয়ে যান শ্রেয়স। অভিষেকে সাই সুদর্শন নজর কাড়েন। তিনি ৪৩ বলে ৫৫ করে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল﷽ ৯টি চারে। প্রোটিয়াদের ডেরায় তাঁদের নাকানিচোবানি খাইয়ে প্রথম ওডিআই ৮ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ লিড নিল টিম ইন্ডিয়া। ২০০ বল বাকি থাকতেই জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় কেএল রাহুলরা। বিদেশের মাটিতে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে এটি রেকর্ড জয়।