সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের পর রোহিত শর্মার অধিনায়কত্ব দেখার পর, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রাক্তন প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী। কেএল রাহুলের সাবলীল সেঞ্চুরির হাত ধরে, ভারত তাদের প্র💯থম ইনিংসে ২৪৫ রান করেছিল। এর পর নিজেদের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নামলে তারা কিন্তু ৩ উইকেট হারিয়েই সহজে দু'শোর গণ্ডি পার করে যায়। ডিন এলগার তো ১৪০ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান।
সকলেই আশা করেছিলেন যে, ভারত লাঞ্চ-পরবর্তী সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে নিজেদের যাবতীয় স্ট্র্য💯াটেজি প্রয়োগ করবে। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ৪০ মিনিটে ডিন এলগার এবং টনি ডি জর্জির ব্যাট থেকে বাউন্ডারির ঝড় ওঠে। নিঃসন্দেহে এলগার এবং জর্জি বেশ ভালো ব্যাটিং করেছে, বিশেষ করে এলগার। অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি, তাঁর শেষ সিরিজে নিজেকে একেবারে নিংড়ে দিচ্ছেন। কাব্যিক ভাষায় যেন নতুন উপাখ্যান লিখছেন এলগার।
অপ্রত্যাশিত বোলিং পরিবর্তন বিতর্কের জন্ম দেয়
লাঞ্চের পর সেশন শুরু করার জন্য জসপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ সিরাজের শক্তিশালী বোলিং জুটি বেছে নেওয়ার পরিবর্তে, শার্দুল ঠাকুর এবং অভিষেক হওয়া প্রসিধ কৃষ্ণকে বেছে নিয়েছিলেন রোহিত। এর ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্রুতগতিতে ৮ ওভারে ৪২ রান করে, ডিন এলগার ৭৯ বলে তাঁর ২৪তম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি করেন। শাস্ত্রী সহ সমাল😼োচকেরা রোহিতের এই সিদ্ধান্ত ন🔯িয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন যে, প্রধান পেসার বুমরাহ এবং সিরাজেরই লাঞ্চের পরে বোলিং করা উচিত ছিল।
দ্রুত উইকেট নিয়ে সিরাজ-বুমরাহ দক্ষিণ আফ্রিকার রানের গতি কমিয়ে দেয়
যখন বুমরাহ এবং সিরাজকে আনা হয়𒁃, তখন তাঁরা দ্রুত দুই উইকেট তুলে নেয়। কার্যকর ভাবে এতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের গতি কিছুটা কমে যায়। সঞ্জয় মঞ্জরেকরꦦ এবং প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ভার্নন ফিল্যান্ডার দাবি করেছেন, ভারত একটি সুযোগ নষ্ট করল।
আরও পড়ুন: আঙুল তুলে রা🎃হুলকে চমকে, ক্ষোভ উগরালেন জানসেন, পাল্টা গান্ধীগির🧸ি কেএল-এর
স্ট্র্যাটেজি নিয়ে ক্ষুব্ধ রবি শাস্ত্রী
রবি শাস্ত্রী দাবি করেছেন, ‘যে কোনও পিকিং অর্ডারে, এই দু꧅'জন (শার্দুল এবং প্রসিধ) বোলিং শুরু করার ক্ষেত্রে আমাদের শেষ ভাবনা হত (লাঞ্চের পরে)। এটা এমন একটা বিষয়, যা নিয়ে আমরা একাধিকবার আলোচনা করেছি, যখন আমি কোচ ছিলাম। এবং প্রায়শই আমরা ♉সেশনের শুরুতে সেরা দুই বোলারকে দিয়েই বল করানোর সিদ্ধান্ত নিতাম।’
বাকিরাও হতবাক
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকার বলেছেন, ভারতের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। তিনি বলেছেন, ‘স্পষ্টতই ভারত একটি বড় কৌশল মিস করে গিয়েছে। এটি এমন কিছু যা রাহুল দ্রাবিড় এবং রোহিত শর্মা অবশ্যই বিরতির সময় ভেবেছিল💃েন এবং তার পরে প্রসিধ এবং শার্দুলের সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার ভার্নন ফিল্যান্ডার বলেছেন, বুমরাহকে বল দেওয়ার আগে ভারত যে ৪২ রান হজম করেছিল, তা দক্ষ𓆏িণ আফ্রিকার রানের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘সম্ভবত ওরা ওকে (বুমরাহ) ৬ ওভারের স্পেলের পরে (লাঞ্চের আগে) বল করানোর জন্য বাঁচাতে চেয়েছিল। আমি মনে করি, ভারত এ🐠কটি বড় সুযোগ মিস করেছে। ভারত লাঞ্চের পরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪২ রান দিয়ে গতি এনে দেয়। তারা একটি সুযোগ হারিয়েছি।’