শুভব্রত মুখার্জি: চলতি আইপিএলে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে কেকেআর দল। প্লে অফে যাওয়া তাদের প্রায় নিশ্চিত। ওয়াংখেড়েতে শাপমুক্তি ঘটেছে কেকেআরের। এক দশকেরও বেশি সময় বাদে তারা জিতেছে মুম্বইতে। ১২ বছর বাদে তারা হারিয়ে দিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলকে। শেষ বার যখন কেকেআর ওয়াংখেড়েতে মুম্বই দলকে হারিয়েছিল, সেই রাতেই ঘটেছিল এক খারাপ ঘটনা। সুনীল নারিনের ১৫ রানে নেওয়া চার উইকেটে ভর করেই সেই রাতে ১৪০ রান ডিফেন্ড করেছিল কেকেআর। এই ম্যাচ শেষেই ওয়াংখেড়ের ন𒈔িরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ঝামেলাতে জড়াতেܫ দেখা গিয়েছিল কেকেআর মালিক শাহরুখ খানকে।তার পরেই ওয়াংখেড়েতে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শাহরুখ খান। তবে সেদিন নাকি এসআরকে কাউকে গালাগালি করেননি! তাঁর সন্তানদের বাঁচাতেই নাকি এমন আচরণ করেছিলেন তিনি! এমনটাই দাবি করেছেন সেই সময়ে কেকেআরের সঙ্গে যুক্ত থাকা জয় ভট্টাচার্য।
সেই বছরেই অর্থাৎ ২০১২ সালে প্রথম বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কেকেআর। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের 🌄বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ওয়াংখেড়েতে হওয়া এক ম্যাচে কেকেআরের মালিক শাহরুখ খান মাঠের নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্☂গে বচসায় জড়িয়েছিলেন। ৫ বছর শাহরুখের ওয়াংখেড়েতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। পরে সেই নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে তিন বছর করা হয়েছিল। তবে এই ঘটনার পর আর শাহরুখ ওয়াংখেড়েতে যান না। ১২ বছর পর জানা গেল, সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল। মাঠে মেয়ে সুহানাকে রক্ষা করতেই রেগে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা শাহরুখ খান! নাইটদের সঙ্গে এই ২০১২ সালে যুক্ত ছিলেন জয় ভট্টাচার্য। ১২ বছর আগে সুহানার সঙ্গে কী ঘটেছিল? সেই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন জয় ভট্টাচার্য।
জয় তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে লিখেছেন, ‘শেষ বার যখন কেকেআর ওয়াংখেড়েতে মুম্বইকে হারিয়েছিল সে🧸ই সময় ডাগআউটে ছিলাম। অনেক দিন আগের কথা। আজ অবশ্য আলাদা একটা দিন।’
এই পোস্টের তলাতেই এক নেটিজেন লেখেন শাহরুখ ওয়াংখেড়ের সিকিউরিটি গার্ডকে গালাগালি দেওয়ার পর থেকে কেকেআরের উপর তাঁর অভিশাপ পরেছিল। আর তাই নাকি ওয়াংখেড়েতে জয় পায়নি নাইটরা। এর উত্তরে জয় লেখেন, ‘কেকেআর ওই ঘটনার পর দু'টো চ্যাম্পিয়নশিপ (আইপিএল) জিতেছে। আর সত্যি বলতে ও (শাহরুখ) গালাগালি করেনি। আমি সেখানে ছিলাম। আমি দেখতে চাই, পরের বার যখন আপনার পরিবারের ছোট্ট মেয়েটিকে ক𓆏েউ অশালীন মন্তব্য করেন, তাহলে কী করে আপনি শান্ত থাকেন।’
জানা গিয়েছে সেই🍸 সময়ে ১২ বছরের মেয়ে সুহানার প্রতি যৌন প্ররোচনামূলক মন্তব্য করা হয়েছিল। নিরাꦜপত্তারক্ষীও নাকি সেই রাতে বাজে ভাবে স্পর্শ করেছিলেন সুহানাকে। আর সেই কারণেই রেগে গিয়েছিলেন শাহরুখ। বাবা হিসেবে ওই মন্তব্য শুনে এবং নিরাপত্তারক্ষীর খারাপ আচরণ দেখেই সেই সময়ে প্রতিবাদ করেছিলেন শাহরুখ।